“খালেদা জিয়ার উচিত ছিল অন্তত আধা ঘণ্টার জন্য হলেও কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করা”
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশ যখন একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অগ্রসর হচ্ছে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, ঠিক সে মুহূর্তে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশি চালিয়ে সরকার বড় ভুল ও অন্যায় কাজ করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপিও দেশে একটা সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টির মাধ্যেমে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পুলিশি তল্লাশির বিষয়ে শনিবার রাতে মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠকের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার এর মাধ্যমে বিএনপির কোমরের জোর পরীক্ষা করার চেষ্টা করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। ফলে ঘটনার পর ম্যাডামের উচিত ছিল অন্ততঃ আধা ঘণ্টার জন্য হলেও কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করা।
তিনি বেগম জিয়ার প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আর কত ঘরে অন্তরীণ থাকবেন? সময় থাকতে রাস্তায় নামুন, অন্যথায় সরকার আরো হয়রানি করতে পারে।
জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদেরও এখন উচিত রাস্তায় নেমে বড় ধরনের একটা প্রতিক্রিয়া দেখানো। আর এটা করতে না পারলে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশা করা বৃথা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের চার থেকে ছয় কোটি মানুষের খালেদা জিয়ার উপর আস্থা আছে, জনগণের এমন আস্থাকে কাজে লাগাতে হবে। তাই এই অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মওলানা ভাসানীর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটের কয়েকটি ছোট ছোট দল ছাড়া প্রায় সবাই আন্দোলনের জন্য মুখিয়ে আছে, কিন্তু তারা কোনো প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন না। তাই বিএনপিকে রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে এই সুযোগটি গ্রহণ করতে হবে। বিএনপির জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে গুছিয়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে আসতে পারে। সেরকম শক্ত আন্দোলন গড়তে পারলে সরকারের গদি নড়ে যেতে পারে। কেননা, এ সরকারের নৈতিক ভিত্তি খুবই দুর্বল।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে দেশের যে অবস্থা তাতে বিএনপির একার পক্ষে রাজনীতিতে পরিবর্তন আনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, যদি না তারা কৌশলী হয়।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপি বড় দলের আমিত্ত ছেড়ে দিয়ে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক মোর্চা গঠন করতে পারলেই দেশের রাজনীতিতে ও ক্ষমতার পালা বদলের হাওয়া লেগে যাবে। আর এমনটি করলে সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ পড়বে। এক পর্যায়ে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই রাজনৈতিক মোর্চার ছায়াতলে একত্রিত হতে পারে। যেটা অতীতেও হয়েছে।
জাফরুল্লা আরো বলেন, শুধু রাজনৈতিক মোর্চা গঠন করলেই হবে না, সর্বদলীয় সরকার গঠন এবং কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সুস্পষ্ট অঙ্গিকারও থাকতে হবে। অবশ্য বেগম জিয়া তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি রূপারেখা দিয়েছেন। কিন্তু রূপারেখা দিয়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নেমে সরকারের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন