খালেদা জিয়ার যে ২০ প্রস্তাব
নির্বাচন কমিশন গঠন এবং এই কমিশনকে শক্তিশালী করতে মোট ২০টি প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। শুক্রবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা এই প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত দফা এবং শক্তিশালীকরণে ১৩ দফা পেশ করেছেন বিএনপি নেত্রী।
নির্বাচন কমিশন গঠনে সাত প্রস্তাব
১. সব রাজনৈতিক দলের একমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
২. রাষ্ট্রপতি প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিরূপণের জন্য সব রাজনৈতিক দল এবং স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথভাবে বৈঠক করবেন। রাষ্ট্রপতি নাগরিক সমাজের মধ্য থেকে সৎ, যোগ্য ও দল নিরপেক্ষ প্রতিনিধিদেরও আলোচনায় যুক্ত করতে পারবেন।
৩. নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বাধীনতার পর প্রতিনিধিত্ব করছে এমন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বাছাই কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি।
৪. স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিনিধিত্ব করছে যেসব দল তাদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রত্যেক পদের জন্য দুইজনের নাম নেবেন রাষ্ট্রপতি।
৫. এ দফায় প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা নিয়ে কথা বলেন খালেদা।
৬. রাজনৈতিক দল থেকে পাওয়া নাম রাষ্ট্রপতি বাছাই কমিটির কাছে দেবেন। বাছাই কমিটি ওইসব নাম থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য দুইজন এবং নির্বাচন কমিশনারের জন্য আটজনের নাম প্রস্তাব করবে।
৭. রাষ্ট্রপতি বাছাই কমিটি কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য দেয়া দুইজনের মধ্যে থেকে একজনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আটজনের নাম থেকে চারজনকে চূড়ান্ত করবেন।
নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে ১৩ দফা
১. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সচিবালয় করতে হবে।
২. কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করেতে হবে।
৩. প্রেষণে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত প্রকাশ্য রাজনৈতিক মতালম্বী নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে হবে।
৪. রিটার্নিং ও সহকারী অফিসার নিয়োগের ব্যাপারে খালেদার সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব।
৫. নির্বাচনের সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে। তা হলো- স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, পররাষ্ট ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
৬. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী এলাকার পূর্ণ সীমানা পুনর্বিন্যাস করতে হবে।
৭. নির্বাচনকালে প্রতিরক্ষা বাহিনীর মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ভোটার তালিকা হালনাগাদকরণ ও নতুন ভোটার নিবন্ধিত করতে হবে।
৯. নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের ম্যাজেস্ট্রিয়াস ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
১১. নির্বাচনী আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক প্রতিবিধানের ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন এই দফায়।
১৩. আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসব প্রস্তাবের পর খালেদা জিয়া বলেন, একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতিরেকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। এই নির্বাচন কমিশন যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে সেজন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন সহায়ক সরকার দরকার। ভবিষ্যতে এ সহায়ক সরকারের রূপরেখা জাতির প্রয়োজনে উপস্থাপন করবেন বলেও জানান খালেদা জিয়া
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন