“খায়দায় চাঁন মিয়া মোটা হয় জব্বার”
আতিকুর রহমান টুটুল, ঝিনাইদহপ্রতিনিধি: প্রবাদ আছে খায়দায় চাঁন মিয়ো মোটা হয় জব্বার। এই প্রবাদ প্রবচনের মতোই ঘটনা ঘটেছে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বাসা বরাদ্দ মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্ন কর্মী অশোক কুমার দাসের নামে। কিন্তু তিনি সে বাসায় থাকেন না। থাকেন মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক আকবার হোসেন।
তারপরও পরিচ্ছন্ন কর্মীর বেতন থেকে কাটা হয় ৭০৫ টাকা। বাসাটি হিসাব রক্ষক আকবার হোসেনের নামে বরাদ্দ হলে প্রতি মাসে বাসা ভাড়া বাবদ ৪৭৫৮ টাকা কাটা যেত। কিন্তু তিনি সুকৌশলে সরকারী টাকা পকেটস্থ করছেন। আকবার হোসেন নামের ওই হিসাব রক্ষকের বাসা দখলের কারনে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নকর্মী অশোক কুমার দাসকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কোটচাঁদপুর থেকে আসা যাওয়া করেন।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানাগেছে, এখানে মোট ২৫ টি বাসা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য ৭ টি। যেখানে ৪ জন বাস করছেন, বাকিগুলো পড়ে আছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তাদের জন্য থাকা ৪ টি বাসায় ৪ জন বসবাস করছেন। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের জন্য ৮ টি বাসার মধ্যে সবগুলো ব্যবহার হচ্ছে। আর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারিদের ৬ টি বাসার ৫ টিতে কর্মচারিরা থাকেন। একটি দখল করে রেখেছেন হিসাব রক্ষক আকবার হোসেন।
হাসপাতালের একটি সুত্র জানায়, হিসাব রক্ষক আকবর হোসেন কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিচ্ছন্নকর্মী অশোক কুমারের নামে বরাদ্ধ নেওয়া বাসায় থাকেন। বাসাটি বরাদ্ধের পর অশোক কুমারকে না দিয়ে তার নামেই বরাদ্ধ দেখিয়ে থাকছেন হিসাব রক্ষক নিজে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, হিসাব রক্ষক নিজ নামে বাসাটি বরাদ্ধ নিলে মাসে ৪৭৫৮ টাকা বেতন থেকে কাটা যেতো। সেখানে ব্যাচেলার দেখিয়ে পরিচ্ছন্নকর্মী অশোক কুমারের নামে বরাদ্ধ নেওয়ায় মাসে কাটা হচ্ছে ৭০৫ টাকা।
যা অশোক কুমার এর বেতন থেকে কাটা হয়। বেতন দেওয়ার সময় আকবার হোসেন ওই টাকা অশোক কুমারকে বুঝিয়ে দেন। অশোক কুমার জানান, তার নামে বাসা কিন্তু থাকেন আকবার হোসেন।
তিনি কিছুই বলতে সাহস পান না। তাকে কোটচাঁদপুর থেকে এসে অফিস করতে হয়। হাসপাতালের অপর এক কর্মকর্তা জানান, হিসাব রক্ষক বাসা বরাদ্ধ নিয়ে যে হিসাব কষেছেন তাতে দেখা গেছে গত চার মাসে সরকারি কোষাগারে তার জমা হওয়ার কথা ১ লাখ ৭১ হাজার ২৮৮ টাকা। সেখানে তিনি দিয়েছেন মাত্র ২৫ হাজার ৩৮০ টাকা।
সরকারকে ঠকিয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৮ টাকা। অশোকের নামে বরাদ্ধ বাসার সঠিক ভাড়া পরিশোধ করলে তাও দিতে হতো ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৬ টাকা। এ ব্যাপারে হিসাব রক্ষক আকবার হোসেন জানান, তিনি বাসা না পেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারির বাসায় উঠেছেন। আর ব্যাচেলার দেখিয়ে স্ব-পরিবারে থাকার ব্যাপারে বলেন, কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য এটা করেছেন। মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ তাহাজ্জেল হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। এখন তার দৃষ্টিতে এসেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন