খুনের মামলায় সাক্ষী হচ্ছে টিয়া পাখি
মানুষের মুখের বুলি আওড়ানোর জন্য বিখ্যাত টিয়াপাখি। এমন গুণের জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি হত্যা মামলায় সাক্ষী হতে পারে এমন পাখি। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে নিউওয়েগো কাউন্টির এক হত্যা মামলায় পোষা এক আফ্রিকান বাদামি টিয়াপাখিকে সাক্ষী করার কথা ভাবছেন সরকারি আইনজীবী।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের স্যান্ড লেক এলাকায় গত বছরের মে মাসে নিজ বাড়িতে খুন হন মার্টিন ডুরাম। এ খুনের মামলায় আসামি তাঁর স্ত্রী গ্লেনা ডুরাম। আর সাক্ষী হতে যাচ্ছে এই দম্পতির পোষা টিয়াপাখি ‘বাড’। মার্টিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর গ্লেনাকে পাওয়া যায় তাঁর স্বামীর মৃতদেহের পাশে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায়।
মার্টিনের পরিবারের দাবি, এই দম্পতির টিয়াপাখিটি খুব সম্ভবত এ খুনের ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী। কারণ, এ ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পর ধারণ করা এক ভিডিওতে পাখিটিকে বলতে শোনা গেছে, ‘গুলি করো না’। পাখিটি এক পুরুষ ও এক নারীর মধ্যকার বাগ্বিতণ্ডার সময়কার কথোপকথন নকল করে আওড়াতে শুরু করে। পুরুষটি উচ্চকণ্ঠে নারীকে বের হয়ে যেতে বলছে। নারী তার জবাবে বলছে, ‘আমি কোথায় যাব?’। আর এরপরই পুরুষটি বলে ওঠে, ‘গুলি করো না’।
মিশিগানের নিউয়েগো কাউন্টির সরকারি কৌঁসুলি রবার্ট স্প্রিংস্টিড বলেন, তাঁরা এখন টিয়াপাখিটির আওড়ানো কথাগুলো বিশ্লেষণের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘এটা একটা দারুণ নতুনত্ব। সেই সঙ্গে আফ্রিকার টিয়াপাখির ব্যাপারে শেখার একটা দারুণ সুযোগও বটে। পাখিটির আওড়ানো কথাগুলো এই খুনের ঘটনায় গ্রহণযোগ্য প্রমাণ কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছি আমরা।’
মার্টিন ডুরামের মা লিলিয়ান ডুরাম বলেন, ‘টিয়াটি যা শোনে তার সবই মনে রাখে এবং আওড়ায়। এমনকি কোনো অকথ্য কথা শুনলেও সে তা আওড়ায়।’ পুলিশ বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদে গ্লেনা নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন, খুব সম্ভবত স্বামীকে খুন করে আত্মহত্যার পরিকল্পনা এঁটেছিলেন গ্লেনা।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি তিনটি সুইসাইড নোট লিখেছিলেন, যার একটি ডুরাম দম্পতির এক সন্তানের উদ্দেশ্যে লেখা। এতে ‘গত এক যুগ ধরে’ হতাশা ছাড়া আর কিছুই না দিতে পারার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। পুলিশ রেকর্ডও বলছে, এই দম্পতির অর্থনৈতিক সংকট ছিল।
মার্টিন ডুরামের বাবা চার্লস ডুরাম বলেন, ‘আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। এখন ছেলের বউকে হারাতে বসেছি। এরপরও আমি বিচারপ্রার্থী। কারণ সকালে ঘুম ভাঙার পরই আমার স্ত্রী আমার কাছে বিচার চায়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন