বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

খুব খারাপ লাগে যখন আমার শ্বশুর কাজের বুয়াকে নিয়ে…ছি ছি ছি

আপু, আমার বয়স ২১ বছর। বিয়ে হয়েছে ১৭ বছর বয়সে। আমি এখন পড়াশুনা করি। পড়াশুনার জন্য আমি অন্য শহরে থাকি এবং আমার জামাই অন্য শহরে থাকে। অন্য শহরে বলতে, ও আমার বাসায় থাকে। যখন বিয়ে হয়েছিল তখন ও পড়াশুনা করতো এবং আমার শহরেই পড়াশুনা করতো। তাই আমার বাসায় থাকতো। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ও চাকরি করছে। কিন্তু এখনও আমার সাথে বাসা নিতে বললে নিচ্ছে না। আমার আম্মুও চায়না ও আলাদা বাসা নিক।

আমরা এক ভাই এক বোন। কিন্তু ওর এইভাবে আমাদের বাসায় থাকাটা আমার ভালো লাগে না। ও শান্ত থাকে সাধারণত। যখন আমি আমার পড়াশুনার জায়গায় থাকি, তখন অনেক ভালো থাকে। কিন্তু যখন আমি আমার বাসায় আসি, প্রথম এক দুই দিন ভালো ব্যবহার করলেও এরপর থেকেই কথায় কথায় রাগ দেখনো শুরু করে। আমার বাসায় এই সমস্যা ওই সমস্যা নানা সমস্যার কথা বলে। আমি ওকে বলি যে তুমি আলাদা বাসা নাও। কিন্তু তখন বলে, যে ওর আলাদা বাসা নেয়ার মত সামর্থ্য নাই। আমি এও বলেছি যে আমি আমার খরচ আমার বাসা থেকেই আনবো, তখন বলে কিনা আমার বাসা থেকে টাকা নিতে ওর ভালো লাগবে না। কিন্তু ওকে এটা বুঝাতে পারি না যে এখন যে আমাদের বাসায় থাকছে, তাতে তো মানুষ আরো খারাপ বেশি বলবে। আর এখনো আমার যাবতীয় খরচ আমার বাসা থেকেই দেয়।

ও যখন আমার জন্য ছোটোখাটো প্রয়োজনে টাকা খরচ করতে হয়, তখনই মুড অফ করে রাখে। ওর বাসার পরিস্থিতি খুব একটা ভালো না, আমাদের চেয়ে অনেক খারাপ। ওরা অনেক গুলা ভাই বোন, আর ওর আব্বু আম্মু অনেক কুটিল স্বভাবের। সারাক্ষণ কালো জাদু,হুজুরের পানি পড়া এইসব নিয়ে পড়ে থাকে যা ও নিজের মুখেই বলেছে। আর ওর আব্বুও ওর আম্মুর গায়ে হাত তুলে। ওর বাসার মানুষজনের সাথে আমি বেশি যোগাযোগ করি না। কারণ তখন ওরা অনেক সময় এমন কথা বলে, যা আমাকে আঘাত করে। এমনকি ওর আপন দুলাভাই অশ্লীল কথা বলেছে কয়েকবার ফোনে। আমার খুব ঘেন্না লেগেছে শুনে এবং ওকে জানিয়েছি। এইজন্য ও ই আমাকে বলেছে খুব বেশি যোগাযোগ না করতে। তাতে নাকি আমি নিজেই কষ্ট পাবো।

ওর আব্বু আমাদের বিয়ের পর আমাদের বাসায় বেড়াতে আসতো,অনেকদিনের জন্য থাকতো। তখন আমাদের বাসার কাজের বুয়া এসে আমাকে বিচার দেয় উনি নাকি ওকে যৌন নির্যাতন করেছেন। এই কথা শুনার পর উনার প্রতি সম্মান একদমই উঠে গেছে। উনি সব সময় আমাদের বাসায় আসলে আগে রান্নাঘরে ঢুকে কাজের মেয়েগুলোর সাথে কথা ঠাট্টা মশকারি করে, যা আমার কাছে অনেক নিচু মানসিকতার মনে হয়। উনি এত বেশি কথা বলে যে আমাদের সমাজের কাছে ছোটো হতে হয়। যার সাথেই দেখা হবে, বলবে যে উনি মেট্রিক পাশ এবং আরো অনেক কথা বলবে যা আমাদের মোটেও ভালো লাগে না। অথচ আমাদের বাসার সবাই উচ্চশিক্ষিত। এমনকি আমিও উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত।

যদিও আমার স্বামীও উচ্চশিক্ষিত। কিন্তু ও আরো পড়াশুনা করতে চায়। তাই সে এখন আমার খরচ বহন করতে রাজি না। ও একবার আমার আম্মুর সামনেই আমার সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তুলেছিলো। এরপর আমার আম্মু ওকে আমার বাসা থেকে চলে যেতে বলেছিলো এবং ওর আব্বুকে ফোন করে নালিশ করেছিলো এবং আমাদের বাসায় এসে তা সমাধান করতে বলেছিলো। ওর আব্বু ওকে জিজ্ঞেস করাতে ও আসতে মানা করায় আর আসে নাই। কিন্তু ওর আব্বু উল্টা আমার আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে বুঝানো শুরু করেছে যে আমরা ওকে ঘর থেকে বের করে দিচ্ছি। আমাদের আত্মীয়স্বজন আমাদেরকে জিজ্ঞেস করাতে আমরা বলি নাই গায়ে হাত তোলার কথা। কেননা নিজেকেই ছোটো মনে হচ্ছিল সেক্ষেত্রে। ও এর আগেই আমার গায়ে দু একবার হাত তুলেছিলো ঝগড়ার একপর্যায়ে। কিন্তু লজ্জায় আমি আম্মুকে বলি নাই। আর ও এর পর পরই আমাকে অনেকবার সরি বলেছিলো তাই মাফ করে দিয়েছিলাম।

পরের বার যখন আম্মুর সামনে হাত তুলে, তখন আম্মুর রিয়েকশন দেখে ও সত্যিই ভয় পেতে যায় এবং আমাকে অনেক বার সরি বলার পর আমি মাফ করে দেই। এরপর আমার বাসায় আবার আসে এবং এখন পর্যন্ত আমাদের বাসায় থাকে। এখন পর্যন্ত গায়ে হাত তুলে নাই। কিন্তু প্রায়ই আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে অন্য সবার সামনে,যা আমার মোটেও ভালো লাগে না। আমার মতে ওর সাথে আমার ঝগড়া হতে পারে কিন্তু সেটা অন্য কেউ শুনবে কেন। ও অনেক চুপচাপ স্বভাবের আর আমি অনেক চঞ্চল। কিন্তু ও সবসময় আমাকে চেঞ্জ করতে চায়। আমি কোনো ছেলের সাথে কথা বললেই অনেক রাগ করে। সহ্যই করতে পারে না। ও অবশ্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে না। ফোনে যখন কথা হয়, মনে হয় ওর চেয়ে ভালো মানুষ আর নাই পৃথিবীতে। এত ভালোবাসে! সামনা সামনি দেখা হলেই এত চেঞ্জ হয়ে যায় কেন!

বিয়ের পর আমার পড়াশুনাতে অনেক হেল্প করেছিলো। অনেক উৎসাহ দিত। এখনো অনেক উৎসাহ দেয় পড়াশুনা করার জন্য। ও চায় আমি অনেক বড় কিছু হই। সম্প্রতি ও আলাদা বাসা নেয়ার জন্য রাজি হয়েছে কিন্তু আমার বাসা থেকে আমি আমার খরচ নিবো এই শর্তে। কিন্তু এখন আমার আম্মু নিতে দিচ্ছে না। বলছে ওর সাথে বাসা নিলে ও আবার আমার গায়ে হাত তুলবে। আম্মু যখন এভাবে বলে অনেক হার্ট হই আমি। রাগ লাগে অনেক আম্মুর উপর। মনে হয় দরকার কী ছিল এমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার! আর দিয়েছে যখন এখন আমাকে আমার মতো সংসার করতে দিলেই তো হয়।

কী করবো আমি?আমি একটু পরামর্শ দিবেন আপু? জানি গুছিয়ে লিখতে পারি নাই। কষ্ট করে বুঝে নিবেন আপু। অনেক মন খারাপ নিয়ে কথাগুলো লিখছি। উল্লেখ্য, ও আমাকে প্রপোজ করেছিল। তখন আমি আমার আম্মুকে ওর কথা বলেছিলাম এবং আমার আম্মু সব খোঁজখবর নিয়ে তারপর বিয়ে দিয়েছিল তার দেড় বছর পর।

প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী
পরামর্শ:
পছন্দ আপনি নিজে করেছেন, এখন মাকে দোষ দিয়ে লাভ আছে আপু? তবে আপনার এই কাহিনীর অনেক কিছুই অস্বাভাবিক। আমি জানিনা আপনি এসব দেখেও কেন কিছু বুঝতে পারছেন না।

আপনি থাকেন না, কিন্তু আপনার স্বামী আপনার বাপের বাড়ি থাকে। সে থাকে আর আপনার মাও তাকে রাখে। বিষয়টা যে কত বড় অস্বাভাবিক একটি ঘটনা আপনি বুঝতে পারেন? নিজেই খুঁজে দেখুন, এমন উদাহরণ আর পাবেন? চিঠির কথাও আপনার বাবার কথা উল্লেখ দেখলাম না। এর অর্থ ধরে নিলাম হয় আপনার বাবা নেই, কিংবা বাবা আপনাদের সাথে থাকেন না। পরিবারে আর কে আছে সেটাও আপনি লেখেন নি। যেমন আপনার কোন বোন, আত্মীয়া বা কাজের বুয়া ইত্যাদি। কারণ আপনার চিঠি পড়ে মনে হচ্ছে যে আপনার বাড়িতে থাকতে স্বামী খুবই পছন্দ করছেন, কেবল আপনি বাড়ি এলেই তার যত সমস্যা শুরু। এর অর্থ, তিনি চান না আপনি বাড়ি আসুন। খুব সহজেই অনুমেয় যে আপনার বাড়িতেই স্বামীর হয়তো কারো সাথে সম্পর্ক চলছে, তাই আপনার উপস্থিতি তার অসহ্য বোধ হয়। এই কারণে তিনি এই বাড়ি ছাড়তেও চান না। এবার আপনার চাপে রাজি যদিও হয়েছেন, আমার ধারণা শেষ মুহূর্তে বিগড়ে যাবেন। তাছাড়া তিনি জানেন যে আপনার মা আপনাদের আলাদা হতে দেবেন না। কেন দেবেন না, সেটাও অবাক লাগছে আমার। কারণ সব মা-ই তো চাইবেন যে মেয়ের আলাদা সংসার হোক।

যাই হোক আপু, আপনি আলাদা বাসা নিয়ে ফেলুন। এবং সর্বদা খেয়াল রাখবেন যে স্বামী যেন আপনার অবর্তমানে কখনোই আপনার মায়ের বাড়িতে যেতে না পারে। যদি বাড়ি ভাড়া করতে না পারেন, স্বামীকে মেসে উঠতে বলুন, তাও আপনার মায়ের বাসায় তার থাকা চলবে না। এখনো কি বুঝতে পারছেন না স্বামী ও তার পরিবার আপনাকে কেবলই টাকার জন্য ব্যবহার করছে? টাকা ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্যই তাঁদের নেই। আমার মনে হয় না এমন মানুষদের পরিবারে আপনি ভালো থাকবেন। যে ছেলের পিতার এই অবস্থা, নিজের পুত্রকে তিনি কী শিক্ষা দিয়েছেন সেটা সজেই অনুমেয়! আপনি স্বামীকে পরিষ্কার জানিয়ে দিন যে তিনি নিজের ও সংসারের দায়িত্ব নিতে না পারলে আপনি আর তার সাথে থাকবেন না। এবং আপু, যদি সত্যিই লোকটা সংসারের দায়িত্ব না নিয়ে শ্বশুরবাড়ির টাকাতেই চলতে থাকে, চোখ বন্ধ করে ডিভোর্স দিয়ে ফেলুন। এমন মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখলে কেবলই জীবনটা নষ্ট হবে আপনার।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী