খেলার সঙ্গী কালকেউটে!
সাপের হিসহিস শব্দে সাধারণ মানুষের পিলে চমকে উঠলেও ওই আওয়াজে বিন্দুমাত্র ভয় পায় না ১১ বছরের ছোট্ট মেয়েটি। হিসহিস করে জীবন্ত কালকেউটে যখন ফণা তুলে ফুসে ওঠে, তখন ভয়ে দূরে সরে যাওয়ার বদলে উলটো বিষধর সাপটিকে পরম মমতায় কাছে টেনে নেয় ১১ বছর বয়সী ছোট্ট কাজল খান।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ঘতমপুরের বাসিন্দা কাজল। ছোট থেকেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে কালকেউটের সঙ্গে। একসঙ্গে খেলা করে, এক বিছানায় ঘুমোয়, এমনকি খাওয়ার সময়ও বন্ধুর মুখে খাবার ঢুকিয়ে দেয় সে। এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধু কালকেউটেকে ছেড়ে থাকতে পারে না ছোট্ট কাজল। বিশ্বের ভয়ঙ্কর এই সাপের সঙ্গে দিনরাত কেটে যায় তার।
জানা গেছে, কাজলের বাবা তাজ মহম্মদ গত ৩১ বছর ধরে সাপ ধরার কাজ করেন। স্থানীয় ঘতমপুর আঞ্চলে সাপুড়ে তাজ মহম্মদকে একডাকে সবাই চেনে। তাজ মহম্মদের বড় ছেলেও সাপ ধরার পেশাকে বেছে নিয়েছেন। কিন্তু কাজলের মতো সাপকে, বিশেষ করে কালকেউটেকে বন্ধু বানানোর সাহস দেখাতে পারেননি তাঁরা।
বন্ধু কেউটের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে গিয়ে অবশ্য বহুবার কেউটের ছোবল খেয়েছে ছোট্ট কাজল। কিন্তু তাতেও ভয়ে বন্ধুকে ছেড়ে যায়নি সে।
কাজল জানায়, খুব বিরক্ত করলেই কেবল সাপটি ছোবল দেয়। না হলে সে কিছুই বলে না। তবে কেউটের ছোবল খেয়ে এর আগে একাধিকবার বিষের কারণে জ্ঞান হারিয়েছে কাজল। প্রতিবারই বাবা তাজ মহম্মদের আনা ওষুধ প্রাণ বাঁচিয়েছে তার।
তবে মেয়ের সাপের সাথে এ বন্ধুত্ব কিন্তু একেবারেই পছন্দ করেন না কাজলের মা সালমা বানু। বহুবার মেয়েকে নিষেধ করেছেন কিন্তু কাজ হয়নি। একবার নাকি কালকেউটেকে কাঁধে জড়িয়ে স্কুলে চলে গিয়েছিল কাজল। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে স্কুলে ঢোকার অনুমতি দেয়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন