গণপরিবহন সিটিং সার্ভিস বন্ধে হলে ভাড়াও কমাতে হবে: ওবায়দুল কাদের
গণপরিবহনে সিটিং সার্ভিস বন্ধে মালিকদের নেয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই সেবা বন্ধ হলে বাড়তি ভাড়া আদায় যেন বন্ধ হয় সে জন্য নজরদারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বিআরটিএ পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। সিটিং সার্ভিস বন্ধ হলে কৌশলে নেয়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ হবে কি না- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ধরনের প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে পাবলিক বাসগুলো সিটিং এর নামে যাত্রীকের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করেছিল। বিশেষ করে অফিস শুরু ও অফিস ছুটির পর লোকাল বাসগুলো সিটিং নামে চলার কারণে যাত্রী ভোগান্তি চরমে উঠতো। আবার নির্ধারিত ভাড়ার বদলে গাড়িগুলো ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করতো। এ নিয় যাত্রীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও নানা সময় সিটি সার্ভিস নিয়ে তার অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি একে ‘চিটিং সার্ভিস’ বলেছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে পরিবহন মালিকরা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, চলতি মাসের ১৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে বাস আর সিটিং নামে চলবে না।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘বাস মালিকরা বাসকে সিটিং করেছিল শুধুমাত্র অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার জন্য। মালিকরাই অতিরিক্ত ভাড়া বাড়িয়েছিল এখন সেই মালিকরাই অতিরিক্ত ভাড়া কমিয়ে সিটিং সার্ভিস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা যায় এটি কার্যকর হবে যথাসময়ে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া যাতে না নেয়া হয় তাই সিটিং সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বাস মালিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই কারণে আগামী ১৫ তারিখ থেকে গেটলক, সিটিং সার্ভিস, স্পেশাল সার্ভিস নামে ঢাকায় এই ধরণের বাস চলাচল করবে না। বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীদের থেকে আদায় করা হবে।’
সকাল ১১টার দিকে মানিকমিয়া এভিনিউয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। আদালত পরিচালনা করেন বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জোহরা খাতুন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গণপরিবহনের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হত। জরিমানা আদায়ের হার কম থাকায় বাস মালিকরা সহজেই পার পেয়ে যেত। এখন জরিমানা এবং কারাদণ্ড উভয় শাস্তির বিধান করা হয়েছে।’
সড়ক মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক পরিবহনগুলোকে শৃঙ্খলায় ফেরাতে মোটরযান আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। সবার মতামত নিয়ে এই আইনটি সংসদে চূড়ান্ত করা হবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন