গভীর রাতে জানালা দিয়ে পালালেন কলেজ পরিচালক

শিক্ষর্থীদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার পর গভীর রাতে জানাল দিয়ে পালালেন কলেজ পরিচালক। সোমবার এমনই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন আজাদ।
হাসপাতালের ভেতরে অতিরিক্ত পুলিশ থাকার পরও তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে পালিয়ে যান প্রতিষ্ঠানে পরিচালক। এ ঘটনার সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে এ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে।
কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পালানোর কথা স্বীকার করলেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি আশুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ভোরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও আশুলিয়ার থানার ওসিসহ আহত হয় অন্তত ৩০ জন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ জানান, গত সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেডিকেল কলেজের নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে দুইটি মেডিকেল কলেজসহ নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন। খবর জানার পর থেকে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজের নূর ইমাম মেহেদী নামে এক প্রশাসনিক কমকর্তাকে ও কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ন জামান চৌধুরী অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রথম দিনেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হয়ে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান নেয়।
মেডিক্যাল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত ও রুবেল অভিযোগ করে বলেন, তাদের মেডিক্যাল কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। হাসপাতালে রোগীও ছিল না। শুধু পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বোর্ডকে দেখানোর জন্য এক মাসের চুক্তিতে শিক্ষক ভাড়া করে নিয়ে আসতো কলেজ কর্তৃপক্ষ। এমনকি সুস্থ লোকজনকে ভাড়া করে রোগী হিসেবে দেখানো হতো।এসব কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কলেজটি বন্ধ করে দিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের অনিয়মের কারণে তাদের কেন ভুগতে হবে?
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থীদের কথা না ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্য। আবার কেউ কেউ জমি বিক্রি করে এই কলেজে ভর্তি হয়েছে। এখন আবার নতুন করে মাইগ্রেশন করলে একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। নতুন করে অন্য কলেজে মাইগ্রেশন করতে মানুসিকভাবে প্রস্তুতিসহ অতিরিক্ত টাকা যোগাড় করতে না পারলে তারা পিছিয়ে পড়তে পড়বে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের “বি” ইউনিটের (মানবিক বিভাগের) ভর্তিবিস্তারিত পড়ুন

শেকৃবির ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “আওয়ামীপন্থি” ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরতবিস্তারিত পড়ুন