গরুর দুধ ও অ্যালার্জির সম্পর্ক
গরুর দুধ শিশুদের ফুড অ্যালার্জির অন্যতম প্রধান একটি কারণ। অ্যালার্জির ক্ষেত্রে রক্তের শ্বেতকণিকা গরুর দুধের প্রতি সংবেদনশীল হয়। যার ফলে অন্ত্র ও চামড়ায় প্রদাহের মাধ্যমে এসব লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এক্ষেত্রে অ্যালার্জিক টেস্ট (স্কিন প্রিক টেস্ট ও রক্ত পরীক্ষা) যথেষ্ট ফলপ্রসূ নয়, কারণ এটি আইজি-ই ঘটিত অ্যালার্জি না। কিছু কিছু শিশুর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিমাণ গরুর দুধ পান করার ফলে একজিমা, বমি, ডায়রিয়া বা শ্বাসকষ্ট জাতীয় লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এবং এ লক্ষণগুলো সাধারণত এক বা একাধিক দিন পরে প্রকাশ পায়।
এক্ষেত্রে অ্যালার্জিক টেস্ট (স্কিন প্রিক টেস্ট ও রক্ত পরীক্ষা) যথেষ্ট ফলপ্রসূ নয়। কারণ এটিও আইজিই ঘটিত অ্যালার্জি নয়। তবে ধারণা করা হয়, এটি রক্তের টি কোষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের ক্ষেত্রে দেরিতে এ সংক্রান্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়, তাদের জন্য অ্যালার্জিক টেস্টের পরিবর্তে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়।
এক্ষেত্রে তাদের বাল্যকাল থেকে চলে আসা চামড়া ও অন্ত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোগ নির্ণয় করা হয়। গরুর দুধের কারণে অ্যালার্জি দীর্ঘস্থায়ী কোনো ব্যাধি নয়। তিন বছর বয়সেই ৮০% শিশু এ জাতীয় সমস্যাযুক্ত হয়ে বেড়ে ওঠে। তবে পুনরায় গরুর দুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ প্রয়োজন।
এক্ষেত্রে রোগীর আগের ইতিহাস ও রোগের তীব্রতার ওপর ভিত্তি করে কিছু টেস্ট করা হয়। আর ওই টেস্টের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পুনরায় গরুর দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোনো শিশুর গরুর দুধের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য খাবারের (যেমন ডিম, সয়াবিন, চীনাবাদাম ইত্যাদি) প্রতিও অ্যালার্জি থাকতে পারে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন