মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার পাশাপাশি দুম্বাও আছে, ক্রেতা নেই

রাজধানীর অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে বিপুলসংখ্যক গরু-ছাগল উঠেছে। ট্রাকে ট্রাকে পশু নামছে হাটে। তবে বেচাকেনা এখনও জমে ওঠেনি। ক্রেতার অপেক্ষায় উন্মুখ হয়ে আছেন বেপারিরা। রোববার সারা দিন বৃষ্টি থাকায় হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। এতে হতাশ বেপারিরা। তারা জানান- আর ৩ দিন বাদেই ঈদ। মাঝে-মধ্যে ক্রেতা এলেও শুধু দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন।

আর সাধ্যের মধ্যে হলে কেউ কেউ পশু কিনে নিচ্ছেন। রাজধানীর গাবতলী, বছিলা, মেরাদিয়া, আফতাবনগর, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, গোপীবাগ, উত্তরা ও নয়াবাজারসহ আরও কয়েকটি হাট ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রাজধানীতে ট্রাক বোঝাই গরু, ছাগল ও মহিষ ঢুকছে। কিন্তু বিক্রি জমে না উঠায় অনেক ব্যবসায়ীকে লোকসানের শংকাও প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তবে কেউ কেউ আশা করছেন ঈদের আগেই পশু বিক্রি হয়ে যাবে।

গাবতলী : দেশের সর্ববৃহৎ গবাদি পশুর হাটে গাবতলীতে রোববার উট উঠেছে।

গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়ার পাশাপাশি উঠেছে বেশ কিছু দুম্বাও। সরেজমিন ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- হাটে বিক্রি নেই বললেই চলে। রোববার বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থীর সংখ্যাও কম ছিল। গাবনার বেড়ার হাতিগাড়ার গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নিজ এলাকা থেকে সংগ্রহ করে ২৫টি মাঝারি ধরনের ষাড় এনেছি। দামাদামি হচ্ছে তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী দাম পাচ্ছি না। এলাকাধিক ক্রেতা-বিক্রেতা জানান, ভারতের গরু আসছে বলে যে প্রচারণা হচ্ছে বাস্তবে কিন্তু সে রকম নয়। দেশী গরুর সংখ্যা এবারের হাটে অনেক বেশি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাঝারি ধরনের গরু ও মহিষের দাম ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া তুলনামূলক বড় আকৃতির গরু ১ লাখ, দেড় লাখ, ১০ লাখ, ১৫ লাখ এমনিক কোনো কোনো গরুর দাম এরচেয়েও বেশি হাঁকা হচ্ছে। বেশিরভাগ খাসি-ছাগলের নাম ১০, ১৫, ২০, ২৫ হাজার টাকার মধ্যে দাম।

গাবতলী গবাদি পশুর হাটের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম বলেন, হাটে গরু, মহিষ, ভেড়া, দুম্বা অনেক উঠেছে। এবার দেশী গরুর সংখ্যা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উত্তরার গরুর হাট : রোববার বৃষ্টির কারণে উত্তরা গরুর হাটে লোকের সমাগম কম দেখা যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পর বাজারে ফের ক্রেতা আসা শুরু করে। উত্তরা রয়েল ক্লাবের সামনে খালি জায়গায় গরুর হাট অনেকটা জমজমাট হয়ে ওঠেছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম।

পাবনা থেকে গরু নিয়ে আসা আমানুল ইসলাম বলেন, তিনি ১২টি গরু নিয়ে এসেছেন। তার আনা সর্বোচ্চ গরুর দাম ৮০ হাজার টাকা। তাছাড়া বাকি গরুগুলো ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে দাম। তিনি বলেন, শনিবার রাতে তিনি গরু নিয়ে এ হাটে আসেন। কিন্তু আসার পথে অন্তত ১০ থেকে ১২ জায়গায় চাঁদা দিতে হয়েছে।

একই অভিযোগ আলী হাসেন মাতবরের। তিনি দিনাজপুর থেকে গরু নিয়ে এ হাটে আসেন। তিনি গরু এনেছেন ১৮টি। এরমধ্যে একটি গরু বিক্রি হয়েছে ৫৭ হাজার টাকায়। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, যে আবহাওয়া দেখছি এবার আর বেশি লাভ দেখতে চাই না। অল্প লাভেই গরু ক্রেতার হাতে তুলে দিয়ে চলে যাব।
উত্তরা ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী সেতুসংলগ্ন খালি জায়গায় যে হাট বসেছে সেখানে শনিবার রাত থেকে গরু আসা শুরু করে।

হাটের ইজারাদার এসএম জাহিদ বলেন, তার হাটে নিজস্ব নিরাপত্তা ও তদারকি টিম কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, কোনো ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা আশা করি হবে না।

উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, এ এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তিনি জানান, হাটে নিরাপত্তায় একাধিক টিম টহলে রয়েছে।

আফতাব নগর : মেরুল বাড্ডার আফতাবনগর গরুর হাট এখনও জমে উঠেনি। হাটে বেশ গরু এলেও বৃষ্টির কারণে রোববার হাট ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। বিক্রির পরিমাণও ছিল খুবই কম। হাট ইজারাদার ও বেপারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার হাটের অর্ধেকও এখনও পরিপূর্ণ হয়নি। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা হাটে গরু নামছে। রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, বগুড়া, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু বোঝাই ট্রাক নিয়ে বেপারিরা হাটে আসছেন। হাট ঘুরে দেখা যায়, সব গরুই মোটা-তাজা বেশ নাদুস-নুদুস। হাটে ভারতীয় গরুর সংখ্যা খুবই কম।

ভারতীয় গরু না আসায় দাম অনেকটা বেশি বলে জানালেন বেপারিরা। কুষ্টিয়ার ছায়েদ আলী বেপারি বলেন, আমরা গরু প্রতি দুই হাজার টাকা লাভ হলেই খুশি। বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বেচতে হচ্ছে। এবার অন্যবারের তুলনায় ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে বলে জানান তিনি। গতবার এক ট্রাক গরু আনতে ভাড়া পড়েছে ২০ হাজার টাকা আর এবার ভাড়া দিতে হয়েছে ২৪ হাজার টাকা। গত বছর যে সাইজের গরুর দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা এবার সেটার দাম হয়েছে ৭০ হাজার টাকা।

হাটে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছে একটি কালো রঙের ষাঁড় গরুর। বেপারি জানান, ঘরে পোষা গরুটি বগুড়া থেকে আনা। বেপারির কেনা পড়েছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। হাটে আনা পর্যন্ত খরচ পড়েছে প্রায় পৌনে ৫ লাখ টাকা। লাল শামিয়ানার নিচে ত্রিপল দিয়ে গরুটি রাখা। এটি দেখার জন্যও আগ্রহী লোকজন ভিড় করছেন।

হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি। কিন্তু বাজারে যেসব গরু চোখে পড়ে তার সবই দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকা। হাটের পরিচালক তোফায়েল আহমদ বলেন, প্রতিদিন একশ ট্রাকের বেশি গরু নামছে। ক্রেতারা হাটে এলে বাজেটের মধ্যে ভালো মানের গরু পাবেন। সরবরাহ ভালো থাকায় গরুর সংকট হবে না বলে জানান তিনি।

মেরাদিয়া : আফতাবনগরের মতো মেরাদিয়া হাটেও অনেক গরু ওঠেছে। কিন্তু বিক্রি নেই। ইজারাদারের প্রতিনিধি সোহেল জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে পুরোদমে হাটে বেচাকেনা শুরু হবে। বৃষ্টি কমে গেলে কাল দুপুরের পর থেকেই কিছু গরু বিক্রি হবে বলে জানান সোহেল।

নয়াবাজার : পুরান ঢাকার নয়াবাজার গরুর হাট এখনও পুরোপুরি জমে ওঠেনি। তবে রোবারার সন্ধ্যা পর্যন্ত যে গরু ওঠেছে তাতেই নির্দিষ্ট হাট এলাকা ছেড়ে মিটফোর্ড এলাকা, ইসলামপুর বাজার রোড, ডিসিসি রোড ভরে গেছে। রোববার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে হাটের গণ্ডি ছেড়ে এসব রুটের দুপাশ দখল নিয়েছে গরু ব্যবসায়ীরা। এসব রাস্তা দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

রাস্তার দুপাশ থেকে রশি টেনে প্লাস্টিকের পর্দা টাঙানো হয়েছে। গরুকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা গরুর খাবার ও নিজেদের চাল-ডাল বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে পর্দা টেনে ঝুপড়ি ঘরের ন্যায় বানাচ্ছেন। গরু ব্যবসায়ী হিরন মিয়া জানান, তিনি জয়পুর হাট থেকে ১৩টি গরু এনেছেন। ট্রাকে করে গরু আনার পরপরই বৃষ্টির শিকার হতে হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বাজারে সারি সারি গরু চোখে পড়লেও ক্রেতা দেখা যাচ্ছে না।

লালবাগ থেকে আসা জহির মিয়া ৫৯ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। তিনি জানান, গরুর দাম অনেক। এমন একটা গরু আগের ঈদে ৩০-৩৫ হাজার টাকায় কিনেছেন। বৃষ্টি হচ্ছে, ছোট্ট একটি টিনশেড ঘরে জাল টাকা শনাক্ত করার মেশিন নিয়ে বসে আছেন ৩ জন। তাদের একজন বাবুল জানান, বৃষ্টির জন্য গরু বিক্রি হচ্ছে না। তাই মেশিনও অলস পড়ে আছে। পশু চিকিৎসকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান দেখা গেলেও, সেখানে কোনো ডাক্তার দেখা যায়নি। ওই সময় অবশ্য বৃষ্টি পড়ছিল। ঘুরে দেখা গেছে, এ হাটে ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা গরুর দাম ওঠেছে। ছাগলও ওঠেছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন

ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩

রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন

  • জাহাঙ্গীরনগর রণক্ষেত্র, অর্ধশতাধিক আহত 
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • মিরপুরে অজ্ঞান পার্টির কবলে কিশোর, খোয়ালো অটোরিকশা
  • নয়াপল্টনে র‍্যাবের অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামাদিসহ আটক ১
  • গার্ডরুমে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত
  • বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদকের ৭২ কর্মকর্তার চাকরি ছাড়ায় নানা আলোচনা
  • রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন
  • বায়ু দূষণ: শীর্ষস্থানে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পাকিস্তান
  • ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
  • রাজধানীতে হাতিরপুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া