গল্প নয় সত্যি, কবর থেকে কথা বললেন যে ব্যক্তি!
কবরে জীবিত থাকা অনেকের কাছেই অনেকটা দুঃস্বপ্নের মত। তবে সেই কাজটিই করে দেখালেন জন এডওয়ার্ড নামে এক আইরিশ ভদ্রলোক। জীবিত অবস্থায় কবরে তিনদিন ও তিন রাত অতিবাহিত করেছেন তিনি। ডাবলিনের বেলফেস্ট চার্চে একটি কফিনে করে জীবিত অবস্থায় সমাহিত করা হয় তাকে।
তবে তিনি কবরে একা ছিলেন না। কফিনটি এমনভাবে তৈরি করা ছিল যাতে তিনি সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতে পারেন। তার যে সকল বন্ধুরা মারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগের উদ্দেশ্যই তিনি এ কাজটি করেছিলেন বলে জানান।
এডওয়ার্ড জানান, প্রায় ২৭ বছর পূর্বে তিনি স্বপ্নে ঈশ্বরকে স্বপ্নে দেখেন। এরপর থেকে তিনি অনেক ধর্মীয় পুনর্বাসন ও আশ্রয়ণ কেন্দ্র গড়ে তুলেন। প্রায় ২০ জন বন্ধুকে হারানোর পর তিনি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা পোষণ করেন। সেই ইচ্ছা থেকেই তিনি দুঃসাহসিক এ কাজে নামেন।
কবরে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি সংযুক্ত থেকেছেন। অনেকে তাকে কল, ম্যাসেজ ও ইমেইল করেছে। বেলফেস্ট টেলিগ্রাফ নামে এক সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, আমার পরিকল্পনা ছিল কবর থেকে তাদের সঙ্গে কথা বলা এবং আমি এটাতে সফল হয়েছি।
মি. এডওয়ার্ড জানান, কবরে আমি আবদ্ধতার অনুভূতি জাগার মত কিছু পাইনি তবে সামান্য ভীত ছিলাম। তিনি বলেন, যখন আলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং আপনি মাটির নীচে থেকে শুনছেন যে, আপনার ওপর মাটি ফেলা হচ্ছে তখন আপনি কিছুটা হলেও ভীত অনুভব করবেন।
মি. এডওয়ার্ডকে যে কফিনে জীবিত অবস্থায় সমাহিত করা হয়েছিল সেটা কোনো সাধারণ কফিন ছিলনা। কফিনটিতে আলো-বাতাস যাওয়ার সু-ব্যবস্থা, খাবার ও পানির সরবরাহ ছিল। পাশাপাশি ছিল টয়লেট করারও ব্যবস্থা। কফিনটি ৮ ফিট লম্বা, সাড়ে ৩ ফিট প্রস্থ ও ৪ ফিট প্রশস্ত ছিল।
কবরে জীবিত অবস্থায় দিন অতিবাহিত করার ঘটনা মি. এডওয়ার্ডের কাছে নতুন নয়। গত বছরেও তিনি ইংল্যান্ডের হ্যালিফক্স চার্চের কবরস্থানে জীবিত অবস্থায় বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন