গাঁজা খেলে কী হয়?
অন্যতম নেশাদ্রব্য গাঁজা। এটি সেবনে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, তা সবারই জানা। তবে গাঁজা সেবনে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয় এবং কীভাবে? তা কী জানেন?
গবেষকদের মতে, নিয়মিত গাঁজা সেবনে মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। আর নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা সেবনে মানুষের চোখের দৃষ্টি কমে যায়। আর এই ক্ষতিই প্রভাবিত করে মানুষের স্বায়ুতন্ত্রকে।
নিয়মিত গাঁজা সেবন এবং এর সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন ফ্রান্সের গবেষকরা। এ সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী জামা ওথামোলজি।
গবেষকদের মতে, নিয়মিত গাঁজা সেবনে চোখের রেটিনায় অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। এই অস্বাভাবিকতার ফলেই দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
ফ্রান্সের গবেষকরা ২৮ জন নিয়মিত গাঁজাসেবী এবং কোনো ধরনের নেশা করেন না এমন ২৪ ব্যক্তির ওপর গবেষণা করেন। ওই ব্যক্তিদের চোখের রেটিনায় বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠানো হয়। পরে গবেষণা করে দেখা যায়, গাঁজা সেবনের কারণে চোখের রেটিনায় বৈদ্যুতিক সংকেতের প্রতিক্রিয়ার কোনো পার্থক্য ঘটেছি কি না।
গবেষণায় দেখা যায়, গাঁজাসেবীদের ক্ষেত্রে বৈদুত্যিক সংকেতের প্রতিক্রিয়া ঘটতে কোনো নেশা না করা ব্যক্তিদের চেয়ে ১০ মিলিসেকেন্ড বেশি সময় লেগেছে।
গবেষকদের মতে, চোখের ভেতের গঠনে কোনো পরিবর্তন ঘটেছে। যে কারণে বৈদুত্যিক সংকেতের প্রতিক্রিয়া পেতে দেরি হয়েছে।
জনস্বাস্থ্যের জন্য তাঁদের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি ফ্রান্সের গবেষকদের। এর মাধ্যমে জানা যায় গাঁজা সেবনে কীভাবে চোখের রেটিনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এই প্রভাবের কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষের স্নায়ুতন্ত্র। গবেষকরা জানান, গাঁজা সেবনে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতির স্থায়িত্ব নিয়ে তাঁরা এখন গবেষণা করছেন।
গাঁজাকে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বৈধ করার উদ্যোগের সমালোচনা গবেষকরা বলেন, গাঁজা সেবনে মানুষের শরীরের ওপর প্রতিক্রিয়া নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন। এ সম্পর্কে আরো জানা প্রয়োজন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন