গাড়িতে ধাক্কা লেগে আহত ব্যক্তিকে মেরে ফেলাই চিনের রীতি!
একটি ঘটনায় ঝাও জিয়াও চেন নামের এক ব্যক্তি ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধাকে পরপর পাঁচ বার গাড়ির চাকায় পিষ্ট করেছেন শুধু তাঁর মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে। অমানিবতার চূড়ান্ত! চিনের রাস্তায় যদি একজন পথচারীকে পথ চলতে হয়, তাহলে শুধু গাড়ির ধাক্কা থেকে নিজেকে বাঁচানোর ব্যাপারে নজর রাখলেই চলবে না।
এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে, তিনি যেন কোনও খুনে ড্রাইভারের গাড়ির সামনে এসে না পড়েন। কারণ চিনের হালের রীতি হল, কোনও গাড়ির ধাক্কায় কেউ আহত হলে আহত ব্যক্তির মৃত্যু সুনিশ্চিত করা।
সাম্প্রতিককালে চিনে এমন দু’টি পৃথক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ধাক্কায় কেউ আহত হওয়ার পর গাড়িচালক বারবার গাড়ির আঘাতে সচেতনভাবে হত্যা করছেন আহত পথচারীকে। একটি ঘটনায় ঝাও জিয়াও চেন নামের এক ব্যক্তি ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধাকে পরপর পাঁচ বার গাড়ির চাকায় পিষ্ট করেছেন শুধু তাঁর মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে।
কিন্তু কেন এই অদ্ভুত অমানবিক রীতি? আসলে চিনের আইন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় যদি কেউ আহত হন, এবং কোর্টে গাড়িচালক দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আহত ব্যক্তিকে আমৃত্যু ক্ষতিপূরণ দিয়ে যেতে হয় তাঁকে। সেই জায়গায় গাড়ির আঘাতে যদি কেউ মারা যান তাহলে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় এককালীন।
আর গাড়ির ধাক্কা যদি ইচ্ছাকৃত বলে কোর্টে প্রমাণিত না হয়, তাহলে অন্য কোনও শাস্তিরও আশঙ্কা থাকছে না। কাজেই দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু কামনা করাই গাড়িচালকের পক্ষে আর্থিক দিক থেকে সুবিধাজনক।
কিন্তু তাহলে মানবিকতা বলে কি কিছুই নেই? কিছু অর্থ সাশ্রয়ের লোভে মানুষ অন্য মানুষকে জেনে-শুনে খুন করবে? চিন প্রশাসনের অবশ্য বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যাতে গাড়ি চালানোর সময়ে আরও সতর্ক হন, তা নিশ্চিত করতেই এই নিয়ম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নিয়ম যে মানুষের মধ্যে নিহিত পশুটিকেই জাগিয়ে তুলছে সেই খোঁজ কি রাখছে চিন সরকার?-এবেলা
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন