সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গান গাওয়ায় ৫ নারীকে নিমর্মভাবে হত্যা (ভিডিও সংযুক্ত )

মোবাইল ফোনে ধারণ করা প্রায় ছয় মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন নারী এবং একজন পুরুষ গল্প করছেন। নারীদের সবার মাথা ঢাকা ফুলের নকশা করা চাদর দিয়ে। কিছুক্ষণ পর তারা খোশগল্পের পাশাপাশি হাততালি দিয়ে গান গাইতে থাকেন। এরপর একজন তরুণ একই কক্ষে নাচতে থাকেন।

ভিডিও ক্লিপটি ছয় বছর আগের পাকিস্তানের দুর্গম কোহিস্তান জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামের। এই ভিডিওতে বাজিগা, সারিন জান, বেগম জান, আমিনা এবং শাহিনকে শেষ বারের মতো দেখা যায়। হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান তারা। কি ঘটেছিল তাদের ভাগ্যে আজও তা রহস্য।

স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় ধর্মগুরুর নির্দেশে ও পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে ওই পাঁচ নারী ও যুবককে গরম পানি ও জ্বলন্ত কয়লায় ফেলে জীবিত পুড়িয়ে মারা হয়৷ যদিও নিম্ন আদালতে প্রমাণ করা হয় ওই পাঁচ কিশোরী বেঁচে আছে৷ তারপর সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়৷

সম্প্রতি ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে৷ ঘটনায় মৃত ওই যুবকের ভাই আফজাল কোহিস্তানি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন৷ এতে ধামাচাপা পড়ে যাওয়া পাকিস্তানের এই অনার কিলিং -এর মামলা পুনরার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত৷ আফজলের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এই মামলা পুনরায় শুরু করেছে৷ তাকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠন৷

পাকিস্তানে প্রত্যন্ত কোহিস্তান এলাকায় অনার কিলিং এর ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ অশিক্ষা, কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামির কারণে অনেক অনার কিলিং এর ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায়৷ শুধু তাই নয়, অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপেও এ ধরনের ঘটনার কোনো উপযুক্ত বিচার মেলে না৷ কোহিস্তানের এই ৫ নারী ও এক যুবককে খুনের ঘটনাতেও একই হয়েছিল৷ একই ধরনের দেখতে দুই নারীকে দেখিয়ে নিম্ন আদালতে প্রমাণ করা হয়েছিল যে, ওই পাঁচ কিশোরী বেঁচে আছে৷ যদিও ধর্মীয় বিধিনিষেধের দোহাই দিয়ে ওই দুই কিশোরীর সঙ্গেও তদন্তকারীদের সামনাসামনি কথা বলতে দেয়া হয়নি৷ এ ক্ষেত্রে মৃত ওই ৫ কিশোরীর সঠিক কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় তদন্তে বেশ বেগ পেতে হয় নিম্ন আদালতকে৷ তার উপর মৃতদের পুড়িয়ে মারার কারণে তাদের শরীরে কোনো আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি৷ খুব সহজেই মামলা খারিজ হয়ে যায় আদালতে৷

তবে ইন্টারনেটে এই নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়াতে এই মামলা নতুন মোড় নেয়৷ নড়েচড়ে বসে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সমাজকর্মীরা৷ তারপর মৃত যুবকের দাদা আফজল কোহিস্তানির উদ্যাগে মামলাটি পুনরায় শুরু হয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে৷ এখন পরবর্তী শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন আফজল৷

আফজাল কোহিস্তানি বলেন, ‘‌ওরা আমার পরিবারকে ধ্বংস করেছে। মেয়েরাও মারা গেছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাইকেও খুন করেছে। এই হত্যার সঠিক বিচার ও আমাদের সুরক্ষার জন্য এই লড়াই চলবে।’‌

সুপ্রিম কোর্টে আপিলের পর থেকেই আফজালকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি এখন নিজের বাড়িতেও যেতে পারছেন না।

গত সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে আফজাল বলেন, ‘আমি জানি, আমাকে হত্যা করা হতে পারে। তবে এই নিয়ে আমার ভয় নেই। কাউকে না কাউকে এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

সূত্র: এনডিটিভি ও সংবাদ প্রতিদিন

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ