গারো তরুণী ধর্ষণ মামলায় রুবেল ফের রিমান্ডে
বিউটি পার্লারকর্মী গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেলকে (২৬) তদন্ত কর্মকর্তার হেফাজতে নিয়ে ফের দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এ মামলায় আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও তদন্তের স্বার্থে ফের সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক একরাম হোসেন।
ওই শুনানির জন্য আজ সোমবার আসামিকে কারাগার থেকে আদলতে আনা হয়। রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কোন প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় ঢাকার অপর মহানগর হাকিম মাজহারুল হক আগামী ২৪ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
এ মামলায় আসামি রুবেলকে প্রথম দফায় ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই রিমান্ডে থাকার ৫ দিনের মাথায় গত বছরের ২০ নভেম্বর ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে সে কারাগারে আছে।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর বাড্ডা থানায় মামলা দায়েরের ১৭ দিন পর ১১ নভেম্বর রাতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে রুবেলকে প্রথম গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১। পরের দিন আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে এসে বিচারকের খাসকামরা থেকে আদালতের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় সে। একদিন পর ১৪ নভেম্বর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের কাছ থেকে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা হয়। ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে পরেরদিন আদালতে হাজির করার পর ৬ দিন মঞ্জুর করা হয়। ওই রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১ দিন আগেই আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায তার সহয়োগী সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার হয়েছে। রিমান্ড শেষে সে কারাগারে আছে।
মামলায় বলা হয়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর বিকালে তিনি উত্তর বাড্ডা হাসান উদ্দিন সড়কের ৩ নম্বর লেনের মিশ্রীটোলায় হাজী রুহুল আমীরের মেসের ভাড়াটিয়া রিপনের সাথে দেখা করতে আসেন। রিপন ওই গারো তরুণীর হবু স্বামী। ওই সময় মেসের বাসিন্দা সালাউদ্দিন (সালু) মোবাইল ফোনে কল করে তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসী আল আমিন, রনি, সুমন ও নাজমুলসহ স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেলকে মেসে ডেকে আনে। তারা ভিকটিমের হবু স্বামীর কাছ থেকে মেসে নারী আনার অজুহাতে ফাঁদে ফেলে ১৭ হাজার টাকা ও তার ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি (হুওয়াই) নিয়ে নেয়। পরে ধর্ষক রুবেল ও তার সহযোগী সালাউদ্দিন (সালু) মিলে ওই গারো তরুণীকে প্রাণের ভয় দেখিয়ে হাজী মোশারফ মিয়ার পরিত্যক্ত বাসার একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে।
প্রসঙ্গত, ধর্ষণের মামলায় প্রথমবার গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে এসে বিচারকের খাসকামরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওইদিনই রাজধানীর কোতয়ালী থানায় মামলা হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বাড্ডা থানার এক এসআই ও কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়। এ মামলায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর তাকে ১ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রাজধানীর উত্তর বাড্ডার মিশ্রীটোলা এলাকার মফিজ উদ্দিন ওরফে মফু মিয়ার ছেলে রুবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী ঘটনায় বাড্ডা থানায় আটটি এবং রামপুরা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন