গায়ে কালি মেখে রাস্তায় হাটছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী!
কেউ যদি গায়েমুখে কালি মেখে রাস্তায় বের হন, তাকে দেখে লোকজনের কী রকম প্রতিক্রিয়া হতে পারে- এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিস্মিত চোখে ফিরে দেখছেন কেউ। কেউ ধরেই নিয়েছেন মেয়েটার মাথা খারাপ, মানসিক রোগী।
কারো মন্তব্য, খ্যাপা আছে মেয়েটা। আবার কৌতূহলী কেউ কেউ পা মিলিয়ে সঙ্গে হাঁটছেন কিছুটা পথ। যদি কালি-রহস্য উদঘাটন করা যায় আর কি না! যে যা-ই বলুক, কালি ছাড়া আর কিছুই গায়ে মাখছেন না পিএস জয়া, যিনি পেশায় একজন চিত্রকর।
কোচির ত্রিপুনিথুরার এ শিল্পী বিগত একশ’ দিন ধরে এভাবেই গায়েমুখে কালি মেখে রাস্তায় বেরোচ্ছেন টানা। পরনে যদিও উজ্জ্বল পোশাক।
২৬ জানুয়ারি হায়দরাবাদ ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কলার রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পর থেকেই গায়ে কালো রং মেখে রাস্তায় বেরোচ্ছেন কেরালার এ শিল্পী। মাঝের এই একশ’ দিনে যখনই রাস্তায় বেরিয়েছেন, কালি মেখে।
এটা তার কাছে একটা এক্সপেরিমেন্ট, আবার প্রতিবাদও। দলিত, নিচু জাতের লোকজনকে এখনও সমাজ যে চোখে দেখে, এটা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। আবার কালো মেয়েকে সব লোকে তো আর ‘কৃষ্ণকলি’ বলে না।
কালো মেয়ের কালো হরিণ চোখের বাহবাও জোটে না। বরং রং কালো বলে, জোটে গঞ্জনা। প্রতিবাদ, সেই বর্ণবিদ্বেষেও।
জয়া বলেন, একজন শিল্পী হিসেবে আমি নিজেই নিজেকে ‘মিডিয়াম’ হিসেবে তুলে ধরতে চাই। সামনে আনতে চাই আমার ভাবনাচিন্তা। এই শিল্পীর কথায়, রহিতের মৃত্যু আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আজো সমাজে দলিতরা কী ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে।
জয়ার কথায়, সাদা-কালো নিয়ে লোকের মনে যে অনুভূতি, আমি তা পরীক্ষা করে দেখতে চাই। সব মেয়েই তো আর ফর্সা হয় না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন