গুলশানে জিম্মি ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারি নামের রেস্তোরাঁয় হামলা ও বিদেশি নাগরিকদের জিম্মির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যে কোনো মূল্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ধৈর্য সহকারে শান্তিপূর্ণভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। জানা গেছে, শুক্রবার রাতভর জেগে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কূটনৈতিক যোগাযোগও অব্যাহত রেখেছেন বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দায়িত্বরত কয়েকজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা জানায়, ঘটনার সময়ে শেখ হাসিনা তারাবির নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই হামলা ও বিদেশি নাগরিক জিম্মির ঘটনা অবহিত হন তিনি।
সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে জিম্মিদের নিরাপদে মুক্ত করার পাশাপাশি, বিদেশি কূটনীতিকদের আবাসস্থলের নিরাপত্তা জোরদার করাসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বেশ কয়েকটি জরুরি নির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা হয়।
এরপর প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে গণভবনে পৌঁছান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। তার আধঘণ্টা পর সেখানে যান দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে গণভবনের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নীতিগত সিদ্ধান্ত
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীবিস্তারিত পড়ুন
অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬%
সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতি উভয়ইবিস্তারিত পড়ুন
গবেষণা: দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেতে চান ৫৫% তরুণ
দেশের প্রায় ৪২% তরুণ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তাদের মতে বেকারত্বেরবিস্তারিত পড়ুন