গৃহকর্মী হ্যাপিকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন শাহাদাত দম্পতি
জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন দম্পতির বাসায় কিশোরী গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপি যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এর বর্ণনা দিয়েছে সে নিজেই। হ্যাপি জানায়, তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন শাহাদাত ও তার স্ত্রী। সামান্য ভুল হলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করতেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। ওইদিন তাকে সুজি পাকাতে দেয়া হয়। সুজির রং কিছুটা ভিন্ন হওয়ায় তার ওপর চলে ভয়াবহ এই নির্যাতন।
গতকাল রবিবার থেকে হ্যাপি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন। আজ সোমবার দুপুরে গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন নিয়েই সাংবাদিকদের শুনিয়েছে সেই নির্যাতনের কাহিনি।
হ্যাপি জানায়, শাহাদতকে সে খুব ভয় পেতো। প্রায়ই তাকে মারধর করতেন শাহাদত। ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হ্যাপি বলে, আমাকে সুজি রান্না করতে বলে। আমি সুজি রান্না করি। সুজির রং অন্যদিনের থেকে একটু ভিন্ন হওয়ায় সন্দেহ করে তারা দুইজনেই মারতে শুরু করেন। তখন আমি সুযোগ পেয়ে দরজা খুলে পালিয়ে যাই।
গতকাল রবিবার শরীরে ও চোখে আঘাতের চিহ্নসহ ১১ বছর বয়সী হ্যাপিকে উদ্ধার করেন মিরপুরের কালশী রোডের কয়েকজন বাসিন্দা। গতকাল রাতেই শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করা হয়। মিরপুরের বাসিন্দা সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন