শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

গৃহবধূকে হত্যার পর মুখে বিষ প্রয়োগ!

পঞ্চগড়ে মালেকা আক্তার মালা (২১) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ভ্যানচালক দুলাল (৩০) ও শাশুড়ি হাওয়া বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুর ১২টায় জেলার সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোফাপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

মালেকাকে প্রথমে মারপিট ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক সুরতহালে ধারণা করছে পুলিশ।

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার কফিল উদ্দীন, সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহসে উল গনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে অভিযুক্ত দুলাল ও তাঁর মা হাওয়া বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, প্রায় তিন বছর আগে সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের গোফাপাড়া গ্রামের হুসেন আলীর ছেলে ভ্যানচালক দুলালের সঙ্গে একই উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের অধিকারীপাড়া এলাকার ওমর আলীর মেয়ে মালেকা আক্তার মালার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের মাসুদ রানা নামের (৭ মাস) একটি ছেলে সন্তান হয়।

গতকাল শুক্রবার রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি গৃহবধূ মালাকে মারপিট করেন। মারপিট ও নির্যাতনে মালা গুরুতর অসুস্থ হলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে মৃতদেহটি তাঁর স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রাত থেকেই ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দুলালের পরিবারের লোকজন।

এদিকে মালার পরিবারের লোকজন রাতেই বিষয়টি পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশকে জানায়। রাতভর অপেক্ষার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি বলে অভিযোগ করে তারা। ১৩ ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

এলাকাবাসী জানায়, এর আগে ভ্যানচালক দুলালের সঙ্গে কামাত কাজলদীঘি এলাকার নার্গিস আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুলাল ও তাঁর মায়ের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নার্গিস বিয়ে বিচ্ছেদ করেন। নার্গিস আদিবা (৬) নামের একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।

নিহত গৃহবধূ মালার মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েকে মেরে ফেলে আমাকে বিষ খাওয়ার খবর দিছে। আমি এসে আমার মেয়ের নাকে-মুখে রক্ত আর আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’

দুলালের আগের স্ত্রীর রেখে যাওয়া মেয়ে আদিবা (৬) বলে, ‘আমার দাদি মায়ের (মালা) মুখ টিপে ধরছে আর আব্বু লাঠি দিয়ে মারছে। পরে মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’

পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. গিয়াস উদ্দীন আহমেদ জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তাঁর শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়ের করা হলে আইনানুযায়ী এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি

ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন

  • ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
  • ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
  • অবৈধভাবে ভারত যাওয়ার সময় ওএসডি হওয়া যুগ্ম সচিব আটক
  • সারজিস আলম: দেশের সিস্টেমগুলোতে ক্যান্সার ধরেছে
  • জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
  • নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • রাজধানীর শনির আখড়া ও ধনিয়ায় গুলিবিদ্ধ ৬
  • বিমানের লাগেজ থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার
  • মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
  • বেনজীরের ঢাবি’র পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব
  • মতিউর গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে দেশেই আছেন