শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

গোখরা সাপের কামড়ের পর কী হয়? দেখে নিন ভিডিওতে..

বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক প্রাণী সাপ। শুধু ভারতেই প্রতি বছর ৫০ হাজার মানুষ সাপের দংশনে মারা যায়।

যদিও কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ ও চিকিৎসাতে এ মৃত্যু রোধ করা সম্ভব। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
ভারতীয় গোখরা সাপ সবচেয়ে বিপজ্জনক সাপের একটি। এ সাপের বিষ অত্যন্ত বিপজ্জনক। এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ড অচল করে দেয়। আমাদের দেশেও পাওয়া যায় এ সাপ।
ভারতীয় গোখরা সাপটি প্রায় সাত ফুট লম্বা হয়। এর বিষ খুব দ্রুত কাজ শুরু করে। মূলত দুটি পর্যায়ে কাজ করে এ সাপের বিষ। প্রথম পর্যায়ে বিষের নিউরোটক্সিন দেহের নার্ভাস সিস্টেম অচল করে দেয়। দংশনের ১৫ মিনিটের মধ্যেই শুরু হয় এ বিষক্রিয়া। ক্ষেত্রবিশেষে দুই ঘণ্টাও লাগতে পারে।
এ প্রতিক্রিয়ায় দেহে চেতনা লুপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া দেখা যায়। দেহ অসাড় হয়ে পড়ে। কোনো কোনো সময় শ্বাস নেওয়াও কষ্টকর হয়ে পড়ে। যে স্থানে সাপ দংশন করে সেখানে ও আশপাশে র‌্যাশ, উঁচু হয়ে ফুলে যাওয়া ও রং পরিবর্তন হতে পারে।
এছাড়া সাপটির বিষে রয়েছে হৃৎস্পন্দন বন্ধ করার উপাদান। এজন্য প্রথমে কিছুক্ষণ হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। এরপর আবার কমে যায় এবং বন্ধ হয়ে যায়।
সাপটি অনেক সময় একাধিকবার দংশন করে। এতে বিষের মাত্রা বেশি হয়। ফলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। এ সাপের দংশনে মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ এটি দিনরাত কার্যক্ষম থাকে। এছাড়া এটি জনবসতির আশপাশেই বাস করে।
সঠিকভাবে চিকিৎসা করা না হলে এ সাপের দংশনে অধিকাংশ সময়েই এক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু নিশ্চিত। তাই দ্রুত রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া উচিত।
সাপের কামড়ের কিছু লক্ষণ হলো-
• ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া
• চামড়াতে সাপের দাঁতের দাগ এবং সেই জায়গাটা ফুলে যাওয়া
• দংশনের জায়গাতে তীব্র যন্ত্রণা
• পেট খারাপ হওয়া
• জ্বালা ভাব
• সংজ্ঞাহীন হয়ে যাওয়া
• মাথা ঘোরা
• চোখে ঝাপসা দেখা
• অত্যাধিক ঘাম হওয়া
• গলা শুকিয়ে যাওয়া
• জ্বর
• বমি ভাব বা বমি হওয়া
• অসাড়তা বা ঝিঁ-ঝিঁ ধরা
• নাড়ীর গতি বেড়ে যাওয়া
সাপ কামড়ালে কী করবেন-
সাপ কামড়েছে জানলে দ্রুত হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
যতক্ষণ চিকিৎসার বন্দোবস্ত না হচ্ছে ততক্ষণ যা করবেন-
–সাবান-পানি দিয়ে ক্ষতস্থানটা ধুয়ে ফেলা
–শরীরের যে অংশে সাপ কমড়েছে সেটা যতটা সম্ভব স্থির করে রাখা।
–ক্ষতস্থানটা পরিস্কার কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা।
–সাপ কামড়ানোর পর যদি ৩০ মিনিটের মধ্যে কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হয়, তাহলে আমেরিকান রেড ক্রসের উপদেশ হল:
সাপ যেখানে কামড়েছে তার দুই থেকে চার ইঞ্চি উঁচুতে (অর্থাৎ হৃদ্পিণ্ডের দিকে) একটা জড়ানো ব্যাণ্ডেজ বাঁধা। ব্যাণ্ডেজটা খুব কষে বাঁধা যেন না হয়, সেক্ষেত্রে রক্ত-চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। মোটামুটিভাবে ব্যাণ্ডেজের তলা দিয়ে যাতে একটা আঙুল গলিয়ে দেওয়া যায় – সেটা দেখতে হবে। এইবার ক্ষতের উপর কোনো ‘সাক্শন’ যন্ত্র সাবধানে বসিয়ে বিষটাকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। এছাড়া চিকিৎসকের কাছে নেওয়ারও ব্যবস্থা করতে হবে।

https://youtu.be/y46NVsu6kYE

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ