গোয়েন্দা ছাড়াই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর উপর গোপনে নজর রাখতে চান?
গোপনে পার্টনারের উপর নজর রাখতে চান? আধুনিক প্রযুক্তিতে তা সম্ভব। ছোট্ট একটি যন্ত্র অথবা ছোট্ট একটি অ্যাপ গোপনে সেরে দেবে কাজ।
গোপনে স্বামী বা স্ত্রী অথবা পার্টনারের উপর নজর রাখার ইচ্ছে ৯০ শতাংশ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। সারাদিন চোখের আড়ালে তিনি কী করেন, কোথায় যান তা জানার জন্য এখন আর প্রচুর টাকা খরচ করে গোয়েন্দা নিয়োগ করতে হয় না। জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে খুব সহজেই নজর রাখা যায় দু’ভাবে—
জিপিএস ট্র্যাকার
জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম হল এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় কোনও বস্তুর অবস্থান জানা যায় রিয়েল টাইমে। অর্থাৎ ১০টা বেজে ১০মিনিটে আপনি যদি থাকেন কলকাতায় তাহলে সেই মুহূর্তে কোনও বিশেষ বস্তু পৃথিবীর কোন জায়গায় রয়েছে তা জানতে পারবেন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যদি সেই বস্তুটির সঙ্গে কানেক্টেড থাকে জিপিএস ট্র্যাকার। জিপিএস ট্র্যাকার যদি কোনও গাড়ির ইঞ্জিনে ইনস্টল করা থাকে তবে যিনি ইনস্টল করছেন এবং যিনি ওই ট্র্যাকারের ডিভাইস অপারেটর হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করবেন, তিনি যে কোনও জায়গায় বসে জানতে পারবেন কোথায় কোথায় যাচ্ছে সেই গাড়ি এবং কতক্ষণ করেই বা থামছে সেই জায়গাগুলিতে। মোবাইল এবং ডেস্কটপ, দু’জায়গা থেকেই ট্র্যাক করা যায় গাড়ি।
এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন অ্যালার্ট সেটিং অপশন। অর্থাৎ কোনও বিশেষ জায়গায় গাড়ি পৌঁছলে মোবাইলে বেজে উঠবে অ্যালার্ট। আবার জিওফেন্সিং অ্যালার্ট সেটিং করে রাখলে ইউজার জানতে পারবেন, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে গিয়েছে কি না গাড়ি। একটা উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। ধরুন আপনার পার্টনার গাড়ি নিয়ে মাঝেমধ্যেই কলকাতার মধ্যে এদিক-ওদিক বেরিয়ে পড়েন। যদি জিওফেন্স সেট করে রাখা থাকে শুধু কলকাতার মধ্যে, তবে সেটা অনেকটা লক্ষ্ণণরেখার মতো কাজ করবে। কলকাতা ছাড়িয়ে অন্য জেলায় গাড়ি গেলেই জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে অ্যালার্ট চলে যাবে মোবাইলে। জিপিএস ট্র্যাকিং পরিষেবা দেয় এমন বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে ভারতে।
জিপিএস অ্যাপ
অ্যানড্রয়েড এবং আইফোনের জন্য ‘ট্র্যাক মাই পার্টনার’ অ্যাপ রয়েছে কিন্তু এগুলি সব সময় অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যায় না। এই অ্যাপ পার্টনারের ফোনে গোপনে ইনস্টল করে নজর রাখা যায় কিন্তু তাতে বিপদ রয়েছে পার্টনারের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার। তবে কিঞ্চিৎ টাকা খরচ করে কোনও ভাল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারকে দিয়ে কাস্টমাইজ্ড অ্যাপ বানিয়ে নেওয়াই ভাল যা ফোনে ইনস্টল করে লুকিয়ে রাখা সম্ভব। এই অ্যাপের মাধ্যমে ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে বুঝে ফেলা সম্ভব আপনার পার্টনার কখন কোথায় যায়।
জিএসএম রেসিপ্রোকাল ট্র্যাকিং
যে কোনও জিএসএম সিম ট্র্যাক করা সম্ভব, স্মার্টফোন না হলেও। আদর্শ পদ্ধতি হল দু’জনেই দু’জনকে একে অপরের ডিভাইসের লোকেশন জানতে দেওয়া। অর্থাৎ আপনি যেমন জানতে পারবেন পার্টনার কোথায় আছেন, পার্টনারও জানতে পারবেন আপনি কোথায় আছেন। অনেকেই এই সেটিং করে রাখেন যাতে ফোন কোনওভাবে হারিয়ে গেলে তা খুঁজে পেতেও সুবিধে হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন