ঘুমিয়ে পড়েছিলাম’, দুর্ঘটনার পর স্বীকারোক্তি ট্রেনচালকের
সবে ঘুম থেকে উঠে সাইডিং থেকে ট্রেন নিয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে যাচ্ছিলাম৷ খুব ক্লান্ত লাগছিল৷ ঘুমে চোখ বুজে আসছিল৷ ট্রেন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম৷ আমারই ভুলবশত ট্রেন বাফারে গিয়ে ধাক্কা মারে৷ শেষ মুহূর্তে ব্রেক কষেছিলাম৷ কিন্ত্ত তাতেও ট্রেন দাঁড় করাতে পারিনি৷” রেলকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এমনই উত্তর দিয়েছেন রবিবার ভোরের শিয়ালদহ স্টেশনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের চালক৷ তাঁর শরীর কি অসুস্থ ছিল? রেলকর্তারা জানাচেছন, না৷ ট্রেনের ওই চালকের এমন স্বীকারোক্তির পরই তাঁকে রেলের তরফে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ শিয়ালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার জয়া ভার্মা সিনহা বলেন, “ওই চালক জানিয়েছেন, তিনি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢোকানোর সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷ যে কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে৷ ঘটনার জেরে ওই চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷” এদিকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ভ্লঙ্ম নম্বর প্ল্যাটফর্মের যে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা ঠিক করা হয়েছে৷ ওই লাইন দিয়ে সোমবার সকাল থেকে ট্রেনও চলাচল করছে৷ রবিবার ভোর চারটে নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সাইডিং থেকে ট্রেন বের করে ভ্লঙ্ম নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকাচিছলেন চালক৷ সেই সময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন দাঁড় করানোর নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে সেটি সজোরে ধাক্কা মারে বাফারে৷ বিকট শব্দে কেঁপে যায় গোটা স্টেশন৷ দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে উঠে পড়ে প্ল্যাটফর্মে৷ ঘটনায় হতচকিত হয়ে যান স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী থেকে রেল কর্তা, প্রত্যেকেই৷ কোনওমতে চালককে টেনে কেবিন থেকে বের করা হয়৷ তারপর তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়৷ ঘটনাস্হলে পৌঁছয় অ্যাক্সিডেণ্ট রিলিফ ট্রেন৷ ট্রেনের বগি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ক্ষতিগ্রস্ত বগি দুটিকে সরিয়ে বাকি কামরা গুলিকে ফের সাইডিংয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ চলে লাইন এবং প্ল্যাটফর্ম মেরামতির কাজ৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন