মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জনগণের সেবার জন্যই রাজনীতি করি। কেবল সরকারে নয়, বিরোধীদলে থাকতেও যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। দুর্যোগে মানুষের জীবন রক্ষাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। ”

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসও হবে। কিন্তু ওই সময় আমাদের প্রথম কর্তব্য মানুষের জীবন রক্ষা করা। আমরা সতর্ক রয়েছি। যখনই ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাই, তখনই কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এবং সেগুলো মোকাবেলায় কার কী করণীয়- তা নির্ধারণ করে মানুষের পাশে ছুটে যাই। সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করি বলেই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হই। ”

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’য় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আল্লাহর রহমতে যে পরিমাণ ক্ষতি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। সাগরে ভাটা থাকায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। তবে প্রচুর ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সরকার ও সচেতন প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়েছে। ” তিনি জানান, ভিয়েনা সফরে থাকতেই ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর দুইটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ তৎপরতাসহ মানুষের জানমাল রক্ষায় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে লাগানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বুধবার সকালে দেশে ফেরার পরপরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে। দলের পক্ষে একাধিক টিমও গঠন করা হয়েছে। যেগুলো আজ-কালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবে। কেমন ক্ষতি হয়েছে, পুনর্বাসনে কী কী করণীয় সেগুলোও তারা (আওয়ামী লীগ) নির্ধারণ করে সুপারিশ করবে। ” তিনি বলেন, “সরকার, প্রশাসন, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সব বাড়িঘর মেরামত করে দেওয়া হবে। খাদ্য ও নগদ সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনে সবকিছু করা হবে। ”

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকার নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার ‘মুজিব কেল্লা’র উন্নয়নসহ নতুন নতুন সাইক্লোন সেন্টার তৈরি ও উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এ প্রসঙ্গে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদহানি হলেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের নিদারুণ ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় বিএনপি সরকারের কোনো পূর্ব প্রস্তুতিই ছিল না। এ কারণে লাখ লাখ মানুষ মারা যায়, ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধ্বংস হয়। বিপুল সংখ্যেক গবাদি পশু ভেসে যায়। নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে সময় বিরোধীদলে থাকলেও আমরা দলের সব সংসদ সদস্যকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি এমনকি মারা যাওয়া মানুষের মরদেহ উদ্ধার ও দাফনের পদক্ষেপও নিয়েছিলাম। ”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওই সময় আমি সংসদে দাঁড়িয়ে লাখ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদ ধ্বংসের কথা তুলে ধরলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত মানুষ মারা যায়নি’। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘কত মানুষ মারা গেলে আপনার তত মানুষ হতো?’ খালেদা জিয়া ‌ওই প্রশ্নের জবাব দেননি। ” কত লাখ মানুষ মারা গেছে, কত গবাদি পশু ভেসে গেছে, কত ঘরবাড়ি ও গাছপালা ধ্বংস হয়েছে- তার খোঁজখবরও বিএনপি সরকার রাখেনি।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাওরসহ দুর্গত এলাকায় নদীভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এটি শেষ হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজও শুরু হবে। তবে কাজগুলো একসঙ্গে শুরু ও শেষ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা একপর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার আগেই বর্ষা মৌসুম এসে যাওয়ায় আবারো নদীভাঙন শুরু হয়ে যায়। ”

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হাওর, বাওর ও বিলের উন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যে হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছে। কার্যক্রমগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন দরকার। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢিমেতালে চললে চলবে না। কাজগুলো গতিশীল করতে হবে। ”

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
  • দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস
  • মিরপুরে ঝগড়ার জেরে ‘সাততলা থেকে ফেলে’ যুবককে হত্যার অভিযোগ
  • ‘হলে থাকতেন-টিউশনি করতেন, এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন’
  • শুক্রবার বৈঠকে বসছেন ইউনূস-মোদি
  • এসএসসি পেছানোর দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি, যা বলছে শিক্ষা বোর্ড
  • মব-নারীবিদ্বেষ-তৌহিদি জনতা: দেশে চরমপন্থা বিকাশের সুযোগ সত্যি নাকি বিভ্রান্তি?
  • নাহিদ: আওয়ামী দুঃশাসনের ভুক্তভোগীদের কাছে ৫ আগস্ট অবশ্যই দ্বিতীয় স্বাধীনতা
  • দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
  • ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে যে আহ্বান জানালো সৌদি আরব
  • ৬ ডলারে নামছে না রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা, কমছে ৫০ সেন্ট
  • আরও একমাস বাড়লো পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ