চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক ৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের (বি-১ ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিতে এসে আটক করা হয়েছে ছয় শিক্ষার্থীকে। একইভাবে প্রযুক্তির সহায়তায় পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন অপর দুই শিক্ষার্থী।
বুধবার এ ঘটনা ঘটে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দণ্ড দেন। আটক শিক্ষার্থীদের বর্তমানে হাটাহাজারী থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয় বলে স্বীকার করেন শিক্ষার্থীরা।
প্রক্সি দিতে এসে আটককৃতরা হলেন, মো. ইমরান হোসেন (২১), আরাফাতুল ইসলাম (১৯), মো. আমান উল্লাহ (১৯), তামিদ মো. ইমতিয়াজ (১৯), জেকি ত্রিপুরা (১৯), শাকিল হোসেন (১৮) এবং প্রযুক্তি সহায়তার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন মহসিন মিয়া (১৯) ও জাহিদ হোসেন (১৮)।
চবি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিভি অ্যান্ড ফিল্ম স্টাডিজের পঞ্চম সেমিস্টারে পড়ুয়া দাবিদার ইমরান হোসেন নকল কপি বের করে চকরিয়ার বদরখালির আরফাতুল ইসলামের নামে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশাপাশি আরাফাতুল ইসলামও ছিলেন হলে। দুজনই চবির বাণিজ্য অনুষদের ৫০২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এ সময় উভয়ের রোল নম্বর মিলে যাওয়ায় হল পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে তাদের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দুজনেই স্বীকার করেন, ইমরান দু’লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে আরাফাতের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল।
অন্যদিকে পেকুয়ার বারোইয়াঘাটার বাসিন্দা আমান উল্লাহ সৈয়দ হাসিবুল হাসান নামের এক পরীক্ষার্থীর কাগজপত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ৪০৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ সময় হল পরিদর্শকের সন্দেহ হলে সে হাসিবুল হাসানের নামে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
তাছাড়া, তামিম মো. ইমতিয়াজ জেকি চাকমার হয়ে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ৪০৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেয়। জেকি চাকমাও একই কক্ষে ছিল। সন্দেহ হলে তাদের ধরেন পরিদর্শক। জেকি চাকমা দাবি করেন ৫০ হাজার টাকার চুক্তির বিনিময়ে তার হয়ে ইমতিয়াজ পরীক্ষা দিতে এসেছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তির সুযোগ পাওয়া মো শাকিল হোসেন উত্তরপত্রে নিজের রোল নম্বরের বদলে মো. শওকত নামের এক পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর লেখেন। শওকতের হয়ে টাকার বিনিময়ে শাকিল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
নরসিংদির রায়পুরা এলাকার মহসিন মিয়া ও জাহিদ হোসেন নামের দুই পরীক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবনের ২০১ নম্বর কক্ষে মুঠোফোন প্রযুক্তি জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তরপত্র পূরণ করার কারণে ধরা পড়েন।
চবির প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। প্রক্সি পরিক্ষায় অংঅশ নিতে আটক শিক্ষার্থীরা বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হয় বলে স্বীকার করেছেন। পরিক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতে তৎপর অব্যাহত থাকবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন