সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

চমক থাকছে না আওয়ামী লীগের সম্মেলনে

জাতীয় সম্মেলন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলে গত কয়েক মাস ধরেই হচ্ছে নানা ঘটনা। নেতৃত্বে কারা আসছেন, কারা বাদ পড়ছেন-এ নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বরাবরই গতিশীল। প্রতিবার সম্মেলনেই প্রায় সব কমিটিতে আসে নতুন মুখ, পরিবর্তন ঘটে দায়িত্বে। এবার দলে এই নতুন মুখ কারা আসছেন- এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আলোচনা।

চলতি বছর মার্চে জাতীয় সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে পৌরসভা নির্বাচনের কারণে তখন তা পিছিয়ে জুলাইয়ে নেয়া হয়। তখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে আবার পেছানো হয় সম্মেলনের তারিখ। সব শেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর হবে এই সম্মেলন।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘দলকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে যে পরিবর্তন আনা দরকার তার সবই আনা হবে। এ জন্য সব প্রস্তুতিই চলছে।’

শীর্ষ দুই পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা ক্ষীণ

১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। জাতির জনককে হত্যার ছয় বছর পর ওই বছর দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেয়া শেখ হাসিনা গত ৩৫ বছর ধরেই রয়ে গেছেন দলের কাণ্ডারী। আগামী জাতীয় সম্মেলনেও তিনি সভাপতি থাকছেন- এটা এক রকম নিশ্চিতই। কারণ গত প্রায় তিন যুগ ধরে এই পদে শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি কেউ। এবারও এই পদে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণার মতো অবস্থানে নেই আওয়ামী লীগের কোনো নেতা।

এর পরের আকর্ষণ সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। ২০০৯ সালের জাতীয় সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। পরেরবারের জাতীয় সম্মেলনেও তিনিই নির্বাচিত হন আবার। আগামী জাতীয় সম্মেলনে এই পদে পরিবর্তন আসতে পারে- এমন কথা চাওর হচ্ছিল মার্চের আগে। কিন্তু পরে সেসব গুঞ্জন আর ডানা মেলেনি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, বড় কোনো ‘দুর্ঘটনা’ না হলে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় প্রধান পদে সৈয়দ আশরাফের থাকার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।

এর পরও এ পদের জন্য চেষ্টা-তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ, ওবায়দুল কাদের, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।

আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে আগামী জাতীয় সম্মেলনে সভাপতির মত সাধারণ সম্পাদক পদেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা খুবই কম। কেবল এই দুটি শীর্ষ পদে নয়, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই থেকে যেতে পারেন। তবে নতুন পদ সৃষ্টি হওয়ায় কিছু নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। তবে এসব পদেও তেমন কোনো চমক থাকছে না। যারা নেতৃত্বে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে তারা গত কয়েক মাস ধরেই সরকার বা দলে গুরুত্ব পেয়ে আসছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘নেতৃত্বে কারা আসবে, সেটা আগে থেকে বলা না গেলেও দলের সব কমিটিতেই পদে নতুন মুখ আসবে এটা বলা যায়। আর নারী নেতৃত্বের সংখ্যা বাড়বে-এটাও নিশ্চিত করে বলা যায়।’

নেতৃত্বে কিছু পরিবর্তন নিশ্চিত

নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের বিভিন্ন কাজে সক্রিয় থেকেছেন, তাদের নানা স্তরে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে এবারের সম্মেলনে। এ ছাড়া সম্পাদকম-লীর সদস্যদের মধ্যে কিছু রদবদল ছাড়াও নতুন কিছু মুখ যোগ হতে পারে। পদোন্নতি হতে পারে বেশ কয়েকজন সম্পাদকম-লীর সদস্যের।

তবে যা-ই হোক না কেন, সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চায় দলটি।

বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ সদস্য ২০০৯ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্ব পান। এরপর ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তাদের বেশির ভাগই বহাল ছিলেন।

গত ৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কার্যনির্বাহী বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার ৭৩ সদস্য থেকে বাড়িয়ে ৮১ সদস্যবিশিষ্ট করার একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেখানে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ‘সভাপতিমণ্ডলী’ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ সদস্যের করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় হয়। বর্তমানে এই পর্ষদে সদস্য সংখ্যা ১৫।

এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনটি থেকে বাড়িয়ে পাঁচটি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এক রকম নিশ্চিত বলে জানা গেছে।

সভাপতিমণ্ডলীতে ‘সাত’ নতুন মুখের সম্ভাবনা

বর্তমান ১৫ সদস্যের কমিটিতে ১২ জন সদস্য রয়েছে। এদের মধ্যে তাদের মধ্যে সতীশ চন্দ্র রায় ও সাহারা খাতুন বয়স বিবেচনায় বাদ পড়তে পারেন। এই অবস্থায় পদের সংখ্যা ১৯ হলে সাত জনের অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

দলীয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পদের জন্য অনেক নেতাই তদবির করছেন। তবে অতীতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দলের জন্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।

এ ফোরামে অন্তর্ভুক্তির আলোচনায় আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান এবং সাবেক চিফ হুইপ আব্দুস শহিদ।

সম্পাদকমণ্ডলীতে নতুন মুখ

আওয়ামী লীগের বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুসারে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ তিনটি। আগামী সম্মেলনের মাধ্যমে এ পদের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হতে পারে।

এ পদেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও দীপু মনির পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ পদে যারা আলোচনায় আছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বীর বাহাদুর, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও আলাউদ্দিন নাছিম।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সাতটি। ময়মনসিংহ বিভাগ হওয়ায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ একটি বাড়বে আসছে সম্মেলনে। এ ছাড়া ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগ হলে সাংগঠনিক সম্পাদক আরও দুটি যোগ করার ব্যবস্থা থাকবে।

বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে দু-একজনের পদোন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম বলে জানা গেছে।

পদোন্নতি ও নতুন বিভাগের ফলে সৃষ্ট শূন্য সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে পারেন পারেন আফজাল হোসেন, নসরুল হামিদ বিপু, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী। তারা সবাই বর্তমানে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় আছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম সুজন, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল মতিন, সাইফুজ্জামান শিখর, রাশেক রহমান।

এ ছাড়া পদোন্নতি পেতে পারেন হাছান মাহমুদ, আব্দুর রহমান, আমিনুল ইসলাম আমিন, এনামুল হক শামীম, জুনাইদ আহমেদ পলক, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ।

ফিরতে পারেন আবুল হোসেন

সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে আবার দলে ফেরানোর কথা ভাবছেন দলের হাই কমান্ড। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তুললে তাকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

এ ছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, শেখ ফজলে নূর তাপস।

নতুন মুখ হিসেবে আলোচিত যারা

কমিটির আকার বাড়ায় বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসবে এটা নিশ্চিত। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা যারা আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

দলটির নেতারা জানান, সম্মেলনে নেতৃত্বের তেমন পরিবর্তন না হলেও পদসংখ্যা বাড়ানোর ফলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ আসবেন। যারা দলের জন্য অবদান রেখেছেন তাদেরই এ ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।

নতুনদের মধ্যে যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহে আলম, মাঈনুদ্দীন হাসান চৌধুরী, মাহবুবুল হক শাকিল, মনিরুজ্জামান মনির, লিয়াকত শিকদার, মারুফা আক্তার পপি, মাহমুদ হাসান রিপন।

এ ছাড়া আলোচনায় আছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, রওশন জাহান সাথী, জাহিদ আহসান রাসেল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী।

বাড়ছে তৃণমূলের আকার

গঠনতন্ত্র উপকমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী দলটির বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা ৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮১ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি জেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পরিসরও বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে মিল রাখা ও তৃণমূলকে উজ্জ¦ীবিত করতেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

সাময়িক বরখাস্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেবিস্তারিত পড়ুন

কমলা হ্যারিসের ভোটের প্রচারণায় বাজবে এ আর রহমানের গান

আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসেরবিস্তারিত পড়ুন

উপদেষ্টা আদিলুর: পূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না

দুর্গাপূজায় বিশৃঙ্খলাকারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেবিস্তারিত পড়ুন

  • কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
  • এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী
  • কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেল মসজিদের মোয়াজ্জেম ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
  • গুরুতর অসুস্থ কে এম সফিউল্লাহ
  • সৌদি আরবে হজ পালনের সময় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু
  • ঈদযাত্রায় মহাসড়কে  চলছে ধীরগতিতে গাড়ি
  • রাজধানীর পান্হপথে ৮০ কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার
  • বুয়েট পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার ন্যানো ল্যাব  
  • বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক বাসার রান্নাঘরে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৪
  • বাজেট হয় কাগজে কলমে, প্রতিফলন নেই সমাজে
  • রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
  • ভেঙে যাচ্ছে সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা