চলছে হয়রানি ভূমি জরিপের নামে সাভারে
ঢাকার সাভারের দক্ষিণ বক্তারপুর মৌজায় সাড়ে চার শতাংশ জমির মালিক ব্যবসায়ী আবদুর রাজ্জাক। মালিকানাসংক্রান্ত সব কাগজপত্রও রয়েছে তাঁর। এরপরেও নানা অজুহাতে বিএস (বাংলাদেশ সার্ভে) জরিপে তাঁর মালিকানা নিশ্চিত করছে না জরিপসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাজ্জাক বলেন, আগের মালিকের কাছ থেকে ২০০৭ সালে তিনি ওই জমি ক্রয়ের পর নিজের নামে নামজারি করে নেন। এরপর থেকেই ওই জমির দখলে রয়েছেন তিনি। তারপরেও নানা অজুহাতে তাঁর মালিকানা নিশ্চিত করতে শতাংশপ্রতি ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন দক্ষিণ বক্তারপুর মৌজায় বিএস জরিপ কাজের সঙ্গে যুক্ত সার্ভেয়ার শামসুল আলম। শুধু ব্যবসায়ী রাজ্জাকই নন, দক্ষিণ বক্তারপুর ও পাশের কাঞ্চনপুর মৌজার হাজার খানেক লোক একই রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নানা অজুহাতে তাঁদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সাভারের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বেশ কয়েকটি মৌজাসহ পৌর এলাকার দক্ষিণ বক্তারপুর ও কাঞ্চনপুর মৌজায়ও বিএস জরিপের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে এলাকা দুটিতে মাঠ পর্যায়ে ডিজিটাল জরিপের কাজ সম্পন্ন করছে। এখন সার্ভেয়ারদের পাঁচটি দল দখল ও মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বাস্তবতার আলোকে রেকর্ডে জমির বর্তমান মালিকদের নাম তালিকাভুক্তির কাজ করছে।
গত সোমবার সরেজমিনে গেলে কথা হয় দক্ষিণ বক্তারপুরের সালাউদ্দিনের সঙ্গে। তাঁর বোন আর তিনি সাড়ে তিন শতাংশ করে সাত শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু তাঁর দখলে রয়েছে চার শতাংশ। এই সামান্য কারণে বিএস রেকর্ডে সমহারে মালিকানা দেখাতে তাঁর কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সার্ভেয়ার আবু জাফরের সহকারী সর্দার আমিন ওবায়দুর রহমান তাঁর কাছে ওই পরিমাণ ঘুষ দাবি করেন। অনেক দর-কষাকষির পর তিনি ১০ হাজার টাকায় রফা করেন।
সাভার বাজারে ফুটপাতে বসে ডিম বিক্রি করেন দুলাল মিয়া। চার শতাংশ জমির জন্য তাঁকে দিতে হয়েছে চার হাজার টাকা। দুলাল বলেন, বিএস জরিপ শেষে তাঁর জমির মালিকানা নিশ্চিতের হাত পরচা দিতে তাঁকে নানাভাবে ঘোরানো হয়। পরে সার্ভেয়ার শামসুল আলমকে চার হাজার টাকা দিয়ে তিনি পরচা পান।
যোগাযোগ করা হলে শামসুল আলম বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করি, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে।
কিন্তু অভিযোগগুলো সত্য নয়।’জানতে চাইলে এসব অভিযোগ সম্পর্কে সাভারের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আবু হাসান মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এলাকার টাউট-বাটপার চক্র প্রচণ্ডভাবে এসব করছে। এরা সাধারণ মানুষকে যেমনি হয়রানি করছে, তেমনি হয়রানি করছে জরিপসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও। এরপরেও ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন