চাঞ্চল্যকরঃ নেতা কিম জং উন খুনের পেছনে সৎ ভাই
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সৎ ভাই কাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে খুন হয়েছেন সেই রহস্যের তদন্ত শুরু করেছে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। কিম জং নাম সোমবার কুয়ালালামপুরের বিমানবন্দরে বিষক্রিয়ার শিকার হন বলে দাবি করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, এ ঘটনার জন্য তারা সন্দেহভাজনদের খুঁজছেন।
এ ঘটনায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ভিয়েতনামী পাসপোর্টধারী এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য প্রকাশ করছে না। মৃতদেহের ময়না তদন্তের কাজ চলছে। তার মৃত্যুর পেছনে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হোয়াং কিও আহন বলেছেন, যদি প্রমাণ হয় যে এই ঘটনার পেছনে আসলে উত্তর কোরিয়াই আছে, তাতে দেশটির শাসকগোষ্ঠী যে কতটা ‘নিষ্ঠুর এবং অমানবিক’ সেটাই প্রকাশ পাবে। মালয়েশিয়া অবশ্য এখনো সরকারিভাবে কিম জং ন্যামের মৃত্যুর কথাই নিশ্চিত করেনি। কারণ, তিনি কিম চল, ছদ্মনামে ভ্রমণ করছিলেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বলছে, তারা নিশ্চিত মৃত ব্যক্তি কিম জং নাম (৪৫)। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা বলছে, কিম জং নামকে বিষ প্রয়োগেই হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান শাসক কিম জং উনের চাচা চ্যাং সং থায়েককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। কুয়ালালামপুরের ঘটনার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার সরকার এখনো কোন মন্তব্য করেনি। তবে যে হাসপাতালে কিম জং নামের মৃতদেহ রাখা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় তাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা সেই হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। সোমবার কুয়ালালামপুর থেকে ম্যাকাওগামী ফ্লাইট ধরার জন্য বিমানবন্দরে আসেন কিম জং নাম। সেদিন তিনি এই হামলার শিকার হন। কিন্তু তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ পায় মঙ্গলবার।
ঠিক কিভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয় তা পরিষ্কার নয়। কোন কোন খবরে বলা হয়, তার ওপর বিষ স্প্রে করে দেয়া হয়। কোন খবরে বলা হচ্ছে, তার মুখের ওপর বিষ মাখানো কাপড় চেপে ধরা হয়েছিল। বিষাক্ত সূচ ফুটিয়ে দেয়ার খবরও বেরিয়েছে।
ঘটনার পর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হচ্ছিল যে দুজন মহিলাকে কিম জং নামের পাশে দেখা যাচ্ছিল, ঘটনার পর যারা ট্যাক্সিতে পালিয়ে যায়। মালয়েশিয়ার পুলিশ সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে।
কিম জং নাম উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের বড় ছেলে। ২০১১ সালে কিম জং ইলের মৃত্যুর পর তিনিই পরবর্তী নেতা হবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতায় বসানো হয় তার ছোট সৎ ভাই কিম জং উনকে। তখন থেকেই দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। কিম জং নাম বেশিরভাগ সময় চীন, সিঙ্গাপুর ও ম্যাকাওতে থাকতেন। বিবিসি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন