চিলির নায়ক এখন গাড়ি ধোয়া সেই ছেলেটি
তোকোপিয়া উত্তর চিলির ছোট্ট শহর। দুই বছর আগেও এই শহরের একটি রাস্তার নাম ছিল কুয়ার্তো পনিয়েন্তে। কিন্তু এখন তার নাম আলেক্সিস সানচেজ সরণি। চিলি ফুটবলের মহাতারকা সানজেচ ওই শহরের রাস্তায় বাল্যকালে ফুটবল শুরু করেছেন বলে নাম পরিবর্তন করেছেন স্থানীরা। সেই রাস্তায় গত দুই দিন ধরে চলছে টানা উৎসব। আতশবাজি আর রংয়ে একাকার।
৯৯ বছরের আক্ষেপ কাটিয়ে চিলিকে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের শহরের এক ছেলে। আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারাতে শেষ গোলটি করেন আলেক্সিস সানচেজ। জয়সূচক গোলটি করে তার জার্সি খুলে মাঠজুড়ে দৌড়ানোর দৃশ্যটিই এখন চিলির উৎসবের প্রতীক। অথচ এই সানচেজের বাল্যকাল কেমন ছিল? একবারে সাধারণ। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমন এক গরিব পরিবাবে তার জন্ম। তোকোপিয়ার একটি স্কুলে পড়তেন সানচেজ। তার মা ওই স্কুলেরই আসবাব পরিষ্কারের কাজ করতেন। স্কুলে গিয়ে কর্মরত মাকে দেখলে কষ্ট পেতেন তিনি।
স্কুলে মায়ের সামনা-সামনি হতে লজ্জা পেতেন কিশোর সানচেজ। গত বছর সানচেজ বলেন, মার স্কুলে আসবাব পরিষ্কার করার কাজ একদম মেনে নিতে পারতাম না। স্কুল চলাকালে মাকে দেখামাত্রই আমি লুকিয়ে পড়তাম। যাতে মা আমকে দেখতে না পান। তবে সেই মাই আমার জীবনের আদর্শ। আমি তার কাছ থেকে শিখেছি, কিভাবে লড়াই করতে হয়। বাবার কথা মনেই নেই তার। তবে ছোট্ট সানচেজ তখন কী করতেন?
মায়ের সামান্য আয়ে তাদের সংসারে টানাপড়েন। সানচেজ নিজেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়তেন। গাড়ি ধোয়ার কাজ করতেন তিনি। মায়ের স্কুল পরিষ্কার আর সানচেজের গাড়ি ধোয়ার টাকায় চলতো তাদের সংসার। তবে ওই স্কুলে পড়ার সময় তার জীবনে একজন ঈশ্বর হয়ে আসেন। খুয়ান সেগোভিয়া নামের ওই শিক্ষকের চোখে সানচেজের ফুটবল প্রতিভা ধরা পড়ে। তিনিই তার শিক্ষক ও প্রথম ফুটবল কোচ।
১৬ বছর বয়সে তোকোপিয়া থেকে ১০০ মাইল দূরে কালামা শহরে ফুটবলের জন্য পাড়ি জমান সানচেজ। এর পুরো উদ্যোগ ছিল ওই শিক্ষকের। এরপর তো ইতিহাস। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। উদিনেস, রিভার প্লেট, বার্সেলোনা হয়ে এখন তিনি ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালে। আর দেশকে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতানো গোলটি তার পা থেকেই আসে। এবার কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়ে গত বছর ব্রাজিল বিশ্বকাপে হারের অবদান আছে বলে মনে মনে সানচেজ। বলেন, গত বছর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার পরই শপথ করেছিলাম, আমরা কোপা আমেরিকা জিতবো। বিশ্বকাপে হারের যন্ত্রণা এক বছর পুষে রেখেছিলাম বলেই আজ আমাদের এই শিরোপা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন