মসজিদ-বাসাবাড়ি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল-জুতা বিক্রি হয় যেখানে!
রাজধানীতে নিয়মিত ঘটনা চুরি ও ছিনতাই। নির্জন কিংবা ব্যস্ততম এলাকার যেখানেই এসব ঘটনা ঘটুক না কেন, এর কবলে পড়ে খোয়া যাওয়া জিনিসপত্র বিক্রি হয় রাজধানীর ঠিক ব্যস্ততম এলাকাগুলোতেই। আর তুলনামূলক কম দামে কেনা-বেচার সুবাদে এ সব পণ্যের চাহিদাও অনেক।
রাজধানীতে চোরাই পণ্য বিক্রির এমন কিছু এলাকা ঘুরে এ সব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীতে চুরি যাওয়া জুতা বিক্রির অন্যতম প্রধান স্থান গুলিস্তান এলাকা। গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নীচের রাস্তায় খুব কম দামে চলে এসব জুতার বিক্রি। মসজিদ, বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থান থেকে জুতা চুরি করে এনে চোরেরা এখানে বিক্রি করেন। পুরনো জুতাগুলো রং করে, নাম করা ব্রান্ডের স্টিকার লাগিয়ে ‘নতুনের’ আবহ সৃষ্টির পর বিক্রি করেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এমনি একজন ব্যবসায়ী রমজান আলী। সাভারের বাসিন্দা রমজান আলী ৪ বছর ধরে গুলিস্তানে জুতা বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি করে অনেকেই এখানে জুতা বিক্রি করে যান। আর কম দামে কিনতে পারার কারণে আমরাও কিনে নিই। কারণ চোরদের অনেকেই নেশার কারণে অথবা অভাবের কারণে তাৎক্ষণাৎ টাকার প্রয়োজন হয়। তারা কম দামেই বিক্রি করে চলে যায়, অনেকেই আমাদের পরিচিত। পরে রং করে এসব জুতা আমরাও কম দামে বিক্রি করি।
ক্রেতাদের চোরাই পণ্য কেনার কারণ ব্যাখ্যা করে রমজান আলী বলেন, রাস্তা থেকে মানুষ একটু কম দামে জুতা কিনতে পারে। কারণ সবার শো-রুম থেকে জুতা কিনার সামর্থ্য থাকে না। আবার অনেকে অতিরিক্ত দামের কারণে শো-রুমে যায় না। তাই বলা যায়, রাস্তায় জুতা বিক্রির কারণে অনেকেরই সুবিধা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পুরাতন জুতা, নতুন কোম্পানির জুতাও এখানে বিক্রি হয়।
তবে শুধু গুলিস্তান এলাকা নয়, ফার্মগেট, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি যাওয়া জুতার বিক্রি চলে বেশ। এসব স্থানে ২০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই কেনা-বেচা হয় বিভিন্ন ধরনের জুতা।
জুতা ছাড়াও চুরি যাওয়া মোবাইল সেটের মার্কেটও রমরমা বিচিত্র এই রাজধানীতে। চুরি যাওয়া মোবাইল সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ওসমানী উদ্যান সংলগ্ন ফুটপাতে। মাত্র ৪০০ টাকায়ও এখানে মোবাইল বিক্রি হয়। ওসমানী উদ্যানের ফুটপাত ও ভেতরে কমপক্ষে ২০টি দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ও দেখা যায়।
এখানকার মোবাইল বিক্রেতা আসাদ মিয়া বলেন, এখানে যারা দোকান দিয়েছেন তারা সবাই মোবাইলের কারিগর। অনেকে আছেন মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলে এখানে বিক্রি করে যায়। সেখান থেকে ভাল যন্ত্রাংশ নিয়ে আমরা অন্য মোবাইলে কাজে লাগাই।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে এই মোবাইল বিক্রেতা অকপটে বলে ফেলেন চোরাই মোবাইল সেট বেচা-কেনার নানা তথ্য।
আসাদ মিয়া বলেন, অনেকে মোবাইল সেট চুরির পর এখানে বিক্রি করে যান। সেগুলো কম দামে কিনে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হয়। এতে লাভও খারাপ হয় না। ক্রেতারা বাজারের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে পাওয়ায় এসব মোবাইলের চাহিদাও ভাল। দ্য রিপোর্ট
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন