চোখের পানির সৌন্দর্যের রহস্য
অতি সামান্য কিছু থেকে মাঝে মধ্যে অসাধারণ কিছুর সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো এমন কিছুও পাওয়া যায় যা আমাদের কল্পনার বাইরে। আর তা চোখের পানি থেকে শুরু করে যেকোন কিছুই হতে পারে। হয়তো মনে মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে চোখের পানি থেকে তা আবার কিভাবে সম্ভব। তাহলে একটু বিস্তারিত জানা যাক। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন নান্দনিক আলোকচিত্রী মরিস মিকার চোখের পানির ওপর এক গবেষণা চালান। তিনি তার বৈজ্ঞানিক চিন্তাশক্তি কাজে লাগিয়ে সমান্য চোখের পানির এক একটি ফোটাকে করে তুলেছেন অসাধারণ।
তিনি গবেষণাগারে চোখের পানি নিয়ে গবেষণা করতে লাগলেন আর এই বিষয়ের উপর ডিগ্রি আনার জন্য তিনি গিয়েছিলেন হেগের রয়েল আর্ট একাডেমিতে যা বর্তমানে নেদারল্যান্ডে অবস্থিত। তিনি চোখের পানিকে এবটি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রেখে দেখলেন যে, এক এক ফোটা চোখের পানি খুব কাছ থেকে দেখলে এক একরকম হয়। যা আপাতত প্রথম দৃষ্টিতে কারো কাছে ফসলের জমি বা সাজানো ফুলগাছের মতো লাগবে। তিনি প্রতিদিন বিভিন্নভাবে চোখের পানি সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে লাগলেন এবং প্রতিদিনই নানারকম চিত্রের দেখা পেতেন। পরবর্তীতে তিনি সেগুলো ছবি তুলে সংগ্রহ করে রাখতেন।
চোখের পানি সাধারণত তিনরকমের হয়ে। প্রথমটি হলো যা চোখের ভিতরে থাকে, দ্বিতীয়টি চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ার সময়টুকু এবং তৃতীয়টি যখন চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে। কারণ চোখের পানিতে শুধু যে পানি থাকে তা কিন্তু নয়। চোখের পানিতে পানির পাশাপাশি থাকে লিপিড, গ্লুকোস, প্রোটিন এবং মিউসিন, লেকটোফর্ম, লিপোকেলিন, লেক্রিটিন ও ইমিউনোগ্লোবিউলিনস, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা এক এক জায়গায় এক এক রকম কাজ করে এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসলে তা অন্য একটি রাসায়রনিক পদার্থের সঙ্গে ক্রিয়া করে। ফলে এক এক অবস্থানের চিত্র একেক রকম হয়।
যদিও এটা বিশ্বাস করা খুব কষ্টসাধ্য যে চোখের পানি থেকে এটা কিভাবে সম্ভব, তাই ওই আলোকচিত্রী অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চোখের পানির এই অপরুপ সৌন্দর্য সবার সামনে তুলে ধরার জন্য একটি সেমিনারের আয়োজন করেন। সেখানে প্রজেক্টর লাগিয়ে হাজার মানুষের সামনে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে চোখের পানির এই সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়। চোখের পানির সঙ্গে রং মেশালে চিত্রগুলো আরো আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। সেমিনারে উপস্থিত থাকা হাজার হাজার দর্শনার্থীরা ছবিগুলো দেখে নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। মিকার বলেন, এখন থেকে আর চোখের পানি নষ্ট করা যাবে না বরং তা সংরক্ষণ করে ছবি তুলে ঘর সাজানোর কাজে ব্যবহার করতে পারেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন