ছেলের শ্লীলতাহানি রক্ষা করতে গিয়ে ১৪ জন পুরুষের হাতে ধর্ষিত ছেলেটির মা !

পাকিস্তানের মুখতার মাই ১৪ জন পুরুষের হাতে ধর্ষিতা হয়েও দমে যাননি ! তার জীবনে ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ বছর আগে। দেশটির যে গ্রামে থাকতেন মুখতার, সেখানে ছিল মাস্তোই বালোচ গোষ্ঠীর প্রতাপ। আর মুখতার ছিলেন তাতলা গোষ্ঠীর সদস্যা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জাতি বিবাদ লেগেই থাকত। সেই বিবাদের জেরেই মুখতারের ছেলে শাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, সে নাকি মাস্তোই গোষ্ঠীভুক্ত আব্দুল খালিকের মেয়ের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে।
খালিকের লোকজন অপরাধের শাস্তি হিসেবে মুখতারের ছেলে শাকুরকে ধরে এনে তার শ্লীলতাহানি করতে থাকে। ছেলেটি তখন ভয়ে চিৎকার দিতে থাকে। ছেলের চিৎকারে ছুটে যান মা মুখতার ও তাতলা গোষ্ঠীর অন্যান্য নারীরা। মুখতারের ছেলের উপর তখনও চলছে অত্যাচার। বিষয়টি বুঝতে আব্দুলের বাড়ি ঘেরাও করে ছেলেটির মা মুখতার ও তার সঙ্গীরা। এতে আব্দুলের লোকজন রেগে মুখতারকে তুলে নিয়ে যায় একটি আস্তাবলে। সেখানে মুখতারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ১৪ জন মিলে তাকে ধর্ষণ করে!
তারপর দীর্ঘ চিকিৎসার পরে যখন সুস্থ হয়ে উঠেন মুখতার, তখন শুরু হয় তার আসল লড়াই। নিজের লড়াইয়ের মাধ্যমে মুখতার হয়ে উঠেন নারীর প্রতিবাদের আন্তর্জাতিক মুখ। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যারা তার উপর এ রকম অত্যাচার করেছিল, তাদের তিনি শাস্তি দেবেনই।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অভিযুক্ত ১৪ জনকে গ্রেফতারও করা হয়, কিন্তু প্রভাব খাটিয়ে তারা মুক্তি পেয়ে যান। তবুও তিনি হার মানেনি! নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করে পাকিস্তানি মেয়েদের শিক্ষা ও প্রগতির ব্যাপারে সক্রিয় হয়ে উঠন তিনি। আত্মজীবনী লিখে নিজের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন সবার সামনে। আর তার সেই আত্মজীবনী বিশ্বজোড়া খ্যাতিও অর্জন করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন