জন্মদাগই শিশুটিকে নিয়ে গেছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে!
আমাদের প্রায় সকলের দেহের কোন না কোন অংশে দেহের রঙের তুলনায় গাঢ় ছোট্ট একটু দাগ দেখা যায়। মাঝে মাঝে সে দাগ যেন কোন অচেনা দেশের মানচিত্রের মত কিংবা সৃষ্টিকর্তার নিজ হাতে করা কোন নকশার বহিঃপ্রকাশ মনে হয়। প্রচলিত ভাষায় এ দাগগুলোকে জন্মদাগ বলা হয়ে থাকে। কেননা জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি এ দাগগুলো আমাদের সঙ্গী হয়ে থাকে।
সার্ফ এক্সেলের এর বিজ্ঞাপনের সেই বিখ্যাত লাইন নিশ্চয়ই সবার মনে আছে? হ্যা, দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয় তবে দাগ ভালো। এই লাইনের সার্থকতা বোধহয় তুর্কির এক শিশুটির দ্বারা বেশ ভালোভাবেই প্রকাশ পেয়েছে। তবে সেটা পোশাকের দাগ নয়, নিজ দেহের জন্মদাগই তুর্কির এই শিশুকে রীতিমত সেলিব্রেটি বানিয়ে দিয়েছে।
সিনার ইঞ্জিন নামের এই শিশুটি ব্যাতিক্রমি এক জন্মদাগ নিয়ে জন্মগ্রহন করেছে। কপালে থাকা তার এই জন্মদাগ দেখলেই যে কারোর মনে হবে যেন পরম মমতায় কেউ ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছে তার কপালে।
সিনার নামের এই শিশু যে কিনা এখন ‘The Love Baby’ অর্থাৎ ‘ভালোবাসার শিশু’ নামে পরিচিত সে ৩০ বছর বয়সী বাবা, মুরাত এবং ২৮ বছর বয়সী মা, সেইডার প্রথম সন্তান।
মুরাত জানান, সন্তান জন্মদানের পর তিনিই প্রথম ব্যাক্তি যিনি ছেলের কপালে থাকা জন্মদাগ খেয়াল করেন। এবং আবিষ্কার করেন এটি হার্ট শেপড বা হৃদয় আকৃতির। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তে নিজের চোখের জল আটকানো আমার পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য ছিলো’।
নিজে দেখার পর মুরাত কর্তব্যরত নার্সকে ডেকে জন্মদাগ দেখান। তিনি অবাক হয়ে যান এবং অন্যান্য নার্সদের ডেকে দেখান। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এ যেন এক ভালোবাসার শিশু’।
নার্সেরা শিশুটির সাথে ছবি ও সেলফি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। সিনার মা সেইডা জানান, বর্তমানে সিনারের বয়স ১৪ মাস। আর এ বয়সেই তার প্রচুর ভক্ত রয়েছে যারা তার সাথে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সবমিলিয়ে বলা যায় মুরাত এবং সেইডার ভালোবাসার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার তাদের সন্তান সিনার। যে কিনা অনলাইন, অফলাইন সর্বত্র ঝড় তুলেছে কেবলমাত্র তার কপালে থাকা হৃদয় আকৃতির জন্মদাগের জন্য! সত্যিই, সৃষ্টিকর্তা চাইলে কি না করতে পারেন!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন