সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

জানেন কে এই জাকির নায়েক, কেন তিনি এতো জনপ্রিয়?

ডা. জাকির আব্দুল করীম নায়েক ইসলাম ও তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর বর্তমান বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম গবেষক ও বাগ্মীদের অন্যতম। অনন্যসাধারণ প্রতিভাধর ‘দাঈ ইলাল্লাহ’ হিসাবে তিনি সারাবিশ্বে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। গত শতকের মধ্যভাগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিক শায়খ আহমাদ দীদাত (১৯১৮-২০০৫) বিভিন্ন ধর্ম ও বস্ত্তগত বিজ্ঞানের সাথে তুলনামূলক আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ইসলাম প্রচারের এক নতুন ধারার প্রয়াস শুরু করেন। ডা. জাকির নায়েক এই ধারার সফল পরিণতিই কেবল দান করেননি; বরং মুসলিম সমাজে প্রচলিত নানাবিধ কুসংস্কার ও নবাবিষ্কৃত আচার-আচরণ তথা শিরক-বিদ‘আতের বিরুদ্ধেও একটি ধারার সূচনা করেছেন। অতি অল্প সময়ে তিনি ‘পীস টিভি’র অনুষ্টানের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান।

ডা. জাকির নায়েক ১৯৬৫ সালের ১৪ অক্টোবর ভারতের মুম্বাই শহরে সালাফি গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পূর্ণ নাম ডা. জাকির আব্দুল করিম নায়েক। বাল্য জীবনে তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার্স উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং পরে কিশেনচাঁদ সিল্লোরাম কলেজে লেখাপড়া করেন। তিনি টোপিওয়ালা জাতীয় মেডিকেল কলেজ ও নায়ার হাসপাতাল থেকে মেডিসিন বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন। পরে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। তার স্ত্রীর নাম ফারহাত নায়েক, যিনি ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের মহিলা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৭ সালে তিনি বিশিষ্ট ধর্ম গবেষক আহমেদ দিদাত এর সাথে সাক্ষাত করেন এবং ধর্ম বিষয়ে তার গবেষণা দেখে অনুপ্রাণিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি দাওয়ার কাজ শুরু করেন এবং IRF (Islamic Research Foundation) নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভ জনক ধর্ম গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যেখানে বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত সকল ধর্ম এবং ধর্মীয় গ্রন্থ সমূহ নিয়ে গবেষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য

হচ্ছে, গবেষণার মাধ্যমে ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে মানুষকে সত্য ও সঠিক পথের সন্ধান দেয়া এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের মুখ উন্মোচন করে ইসলামের সঠিক বানী সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া। জাকির নায়েক তার লক্ষ সম্পর্কে বলেন, আমার লক্ষ হচ্ছে শিক্ষিত মুসলিম যুবকগনকে তাদের নিজস্ব ধর্ম সম্পর্কে সচেতন করা এবং ধর্ম সম্পর্কে তাদের পুরাতন ও ভুল ধারনা থেকে বাহিরে আনা। তিনি মনে করেন, ২০০১ সালে ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলার পর পাশ্চাত্য মিডিয়া বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে তা অপসারণ করা মুসলমানদেরই দায়িত্ব। এ ব্যাপারে তার লেখা বেশ কিছু নিবন্ধ ইসলামিক ভয়েস নামে অনেক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।

নৃতত্ত্ববিদ থমাস ব্লোম হেনসেন লিখেছেন, নায়েক তার নিজের পাণ্ডিত্য দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় কুরআন ও হাদিস শিক্ষা লাভ করেছেন। তার এই ধর্ম প্রচারের শৈলী তাকে মুসলিম ও অমুসলিমদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছে। তিনি সঠিক ধর্মের ঠিকানা মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে অন্যান্য ধর্মবেত্তাদের সাথে প্রকাশ্যে বিতর্কে অবতীর্ণ হন। ধর্ম নিয়ে তার এই বিতর্ক অনুষ্ঠান রেকর্ড করা হয় এবং তা সিডি, ডিভিডি ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তার কথা প্রকৃত ভাবে রেকর্ড করা হয় ইংরেজিতে পরে এটি আরবি, উর্দু, বাংলা, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত করে তার প্রতিষ্ঠিত পিস টিভির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রচার করা হয়। তিনি যে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করেন তা হচ্ছে, ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান, ইসলাম ও খ্রিষ্টান, ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম এবং ইসলাম ও ধর্মনিরপেক্ষতা। ডা. জাকির নায়েক ভারতের মুম্বাইতে আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত ইসলামী আদর্শে গড়ে তোলা হয়। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ইসলাম ও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হয়।

২০০০ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে প্রখ্যাত খৃষ্টান পন্ডিত ড. উইলিয়াম ক্যাম্পবেলের সাথে ‘বিজ্ঞানের আলোকে পবিত্র কুরআন ও বাইবেল’ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠান খৃষ্টান বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। ২০০৬ সালে ব্যাঙ্গালোরে লক্ষাধিক শ্রোতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত শ্রী শ্রী রবিশংকরের সাথে তাঁর আন্তঃধর্ম সংলাপ ব্যাপক প্রশংসা কুড়ায়। ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর নভেম্বর মাসে মুম্বাইয়ের সুবিশাল সুমাইয়া গ্রাউন্ডে ১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পীস কনফারেন্সের আয়োজন করে থাকেন। ইন্ডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে খ্যাতনামা ইসলামী পন্ডিতগণ এখানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত থাকেন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও সুসজ্জিত ডেকোরেশনে আড়ম্বরপূর্ণ এ আয়োজনে প্রতিবছর কয়েক লক্ষ শ্রোতার আগমন ঘটে। পীস টিভির মাধ্যমে যা সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ।
তাঁর বক্তব্যসমূহ সিডি-ভিসিডি এবং বই আকারেও প্রকাশিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়ে তা বিশ্বের নানা জায়গায় প্রচারিত হচ্ছে।

তাঁর প্রতিষ্ঠিত মুম্বাইয়ের Islamic Research Foundation (IRF) নামক বহুমুখী ইসলামিক সেন্টারটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে সারাবিশ্বে অমুসলিম সমাজে ইসলামের বার্তা পৌঁছানো, ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণাসমূহ নিরসন এবং মুসলমানদের মাঝে আত্মসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ২০০৬ সালের ২১ জানুয়ারী এ প্রতিষ্ঠানটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ Peace TV নামক একটি ইসলামী টিভি চ্যানেল চালু করে। মুসলিম বিশ্বে এটাই ছিল তখন সর্বপ্রথম এবং একমাত্র ইসলামিক টিভি। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দক্ষিণ আমেরিকা ব্যতীত আমেরিকা ও কানাডাসহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে চ্যানেলটির সম্প্রচার শুরু হয়। বর্তমানে চ্যানেলটি ১৫০টিরও বেশী দেশে সম্প্রচারিত হচ্ছে। এর দর্শক ৫০ মিলিয়নেরও অধিক।-ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ