জানেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখায় উৎসাহ দিতে রোজ কী করেন এই শিক্ষক?
ছোটদের মন আপন খেয়ালের দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ায়। সেখানে শুধুই মজা, আনন্দ, হুল্লোড়। দুঃখ-কষ্টের সেখানে কোনও ঠাঁই নেই। ছোটদের খেয়ালি দুনিয়া আমার-আপনার বোঝার দায়। একথা ছিল নিকুম্ভ স্যারের। আমির খান অভিনীত ‘তারে জমিন পর’ ছবিতে এইভাবেই ছোটদের খেয়ালি দুনিয়ার পরিভাষা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এমন নিকুম্ভ স্যাররা শুধু পর্দাতেই থাকেন। বাস্তব জীবনে তাঁদের দেখা মেলা ভার। তবে মার্কিন মুলুকে হুবহু এমনই এক শিক্ষকের দেখা মিলেছে। যিনি পড়ুয়াদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিতে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছেন। নিকুম্ভ স্যারের মতো ক্লাসরুমে নেচে-গেয়ে নাহলেও হাতমেলানোর বিচিত্র ভঙ্গিতে ছোটদের মন জয় করে ফেলেছেন উত্তর ক্যারোলিনার শার্লটের একটি জুনিয়র স্কুলের ইংরাজি শিক্ষক ব্যারি হোয়াইট জুনিয়র।
ফিফথ গ্রেডের এই শিক্ষক ক্লাসের প্রত্যেক পড়ুয়ার সঙ্গে আলাদা আলাদা ভঙ্গিতে হ্যান্ডশেক করেন। হ্যাঁ, ঠিক পড়ছেন। রোজ, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে হ্যান্ডশেক করেন হোয়াইট। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেক পড়ুয়া তাঁর জন্য ক্লাসরুমের বাইরে অপেক্ষা করেন। হোয়াইট ক্লাসে ঢোকার আগে লাইন দিয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে এক এক করে হ্যান্ডশেক করেন। তারপরেই শুরু হয় ক্লাস।
অ্যাশলি পার্ক প্রেক-৮ স্কুলের শিক্ষক হোয়াইট আলাদা আলাদা ভঙ্গিতে প্রত্যেক পড়ুয়ার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেন তারও কারণ আছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘ক্লাসরুমে ঢোকার আগে আমরা এইভাবেই একে অপরকে সুপ্রভাত জানাই। আমি নিজেও সবসময় চনমনে থাকি। আর ক্লাস শুরুর আগে পড়ুয়ারাও যাতে নয়া উদ্যমে দিন শুরু করে তাই প্রচেষ্টা।’ শুধু তাই নয়, প্রত্যেক পড়ুয়ার পারসোনালিটি অনুযায়ী আলাদা আলাদা হ্যান্ডশেকের ভঙ্গি মাথা খাটিয়ে বের করেছেন হোয়াইট।
প্রথমে ফোর্থ গ্রেডের এক ছাত্রীর সঙ্গে এই পদ্ধতি আমদানি করেন হোয়াইট। সে নাকি রোজ হোয়াইটের সঙ্গে করমর্দন করার জন্য ক্লাসরুমের বাইরে অপেক্ষা করত। এর জন্য অনেকদিনই ওই ছাত্রীর ক্লাসে ঢুকতে দেরি হয়ে যেত। এরপর চলতি বছর এক দুজন পড়ুযার সঙ্গে রিসেস পিরিয়ডে করমর্দনের পদ্ধতি অবলম্বন করেন হোয়াইট। দেখতে দেখতে তাও হিট হয়ে যায়। এখন অন্য ক্লাসের পড়ুয়ারাও তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হোয়াইট। পড়ুয়ারাও নাকি বেশ আনন্দই পায় হোয়াইটের সঙ্গে এমনভাবে করমর্দন করতে।
আমেরিকান বাস্কেটবল লিগের টিম ক্লিভল্যান্ড ক্যাভালিয়ার্সের ফ্যান হোয়াইট বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় লেব্রন জেমসের কাছ থেকে এমন করমর্দনের ভঙ্গির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তাঁর স্টাইলেই পড়ুয়াদের সঙ্গে এমনটা করেন হোয়াইট। তাঁর মতে, এর ফলে গুরু-শিষ্যের একটা আলাদা সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে যা অটুট বন্ধন তৈরি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষও হোয়াইটের এই উদ্যোগে বেশ আপ্লুত। স্কুলের প্রিন্সিপাল মেঘান লফ্টাস জানিয়েছেন, এতে স্কুলে পড়ুয়াদের উপিস্থিতির হার যেমন বেড়েছে, তেমনই তাদের মেধাতেও এর বেশ প্রভাব পড়েছে। গুরু-শিষ্যের এমন সম্পর্ক এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বলে তাঁর মত।-সংবাদ প্রতিদিন
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন