জাবিতে কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করল ছাত্রলীগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ সংগঠনের এক কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মীর মশাররফ হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ছাত্রলীগকর্মী জাবেদ সজল অর্থনীতি বিভাগে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক বশিরুল হকের অনুসারীরা কোনো কারণ ছাড়াই দরজার ছিটকিনি ভেঙে ছাত্রলীগকর্মী জাবেদ সজলের কক্ষে প্রবেশ করেন। মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪১তম আবর্তনের পরিসংখ্যান বিভাগের সুব্রত কুমার সাহা, আইটি ইনস্টিটিউিটের অভিজিৎ নন্দী, আইন বিভাগের মানোয়ার, ৪২তম আবর্তনের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিহাব রাজ, অর্থনীতি বিভাগের ইসমাইল হোসেন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ফরহাদ হোসেন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মো. আলী আহসান, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বায়েজিদ আহমেদ, ৪৩তম আবর্তনের জেনেটিক্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিফাত আহমেদ রাতুল, ইতিহাস বিভাগের প্রীতম আরিফ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আজমুস সাহান নওরোজ প্রণয় ও ৪৪তম আবর্তনের ইতিহাস বিভাগের ফাহাদসহ ৮-১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাঁকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় সজলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, ঘটনার সময় ছাত্রলীগকর্মী ও নগর অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম থামাতে গেলে মারধরকারীদের ভাঙ্গা কাঁচে তিনিও আহত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিউল পিস্তল বের করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত রবিউলও এনাম মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। তবে পিস্তল বের করার মতো ঘটনা ঘটেনি দাবি করে রবিউল বলেন, ‘আমি স্রেফ সাংগঠনিক জায়গা থেকে মারধরকারীদের থামাতে গিয়েছিলাম। মারধর থামাতে গেলে কেউ পিস্তল বের করে নাকি! সামনে কমিটি তো তাই আমার বিরুদ্ধে এসব বলা হচ্ছে। এগুলা সব নাটক।’
তবে ঘটনার সময় উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাধারণ শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, কাঁচের আঘাতে আহত হওয়ার পর রবিউলকে পিস্তল বের করে মারধরকারী কয়েকজনের মাথায় ঠেকাতে দেখেছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার জাবেদ সজল বলেন, ‘কোনো কারণ নেই ওরা হঠাৎ দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে আমাকে মারধর করে। এর আগেও গত এপ্রিল মাসে কোনো কারণ ছাড়াই এরা আমার কক্ষ ভাঙ্গচুর করে এবং আমাকে ওই রুম থেকে নামিয়ে দেয়। ওরা মনে করছে সামনের কমিটিতে আমি ভালো পদ পাব। তাই শত্রুতা করে বারবার আমার সাথে এ সব করছে। যেকোনোভাবে আমাকে হল থেকে বের করে দিতে চাচ্ছে ওরা।’
মারধরকারীদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান মারধরের শিকার এই ছাত্রলীগকর্মী।
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো.ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হলের পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর তপন কুমার সাহা বলেন, ‘যেহেতু বিষয়টি হলের তাই আমি হল প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি। হল প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন