জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির চেষ্টা, আটক ৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) জীব বিজ্ঞান অনুষদভূক্ত ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে জালিয়াতি করার চেষ্টায় একটি জালিয়াতি চক্রকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার বিকেল ৫.১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে জাবি প্রেসক্লাবের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত কয়েকজন সাংবাদিক ও নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় ঐ জালিয়াতি চক্রকে আটক করা হয়েছে। পরে প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে ৫ জনকে আশুলিয়া পুলিশে সোপর্দ করে।
আটককৃতরা হলেন, মো. মোর্শেদ আলম জামাল (ভোলা), সোয়েব আলম চৌধুরী, কোচিং ব্যবসায়ী (ঢাকা), মূল হোতা জামালের ভাগিনা মাহবুবুর রহমান (ভোলা), মনিরুল ইসলাম (দিনাজপুর), শিক্ষার্থী আশিক কবির (পাবনা)। জালিয়াতি চক্রের সদস্য মোর্শেদ আলম জামাল ও কোচিং ব্যবসায়ী সোয়েব আলম ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সুরাইয়াকে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য কাজ করে আসছিল বলে স্বীকার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ৫-৬ জন ব্যক্তি পরীক্ষার্থী সুরাইয়াকে (বরিশাল) নিয়ে জটলা বেঁধে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে থাকে। এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি রিজু মোল্লা তাদের গতি বিধি সন্দেহ করে আশেপাশে অবস্থানরত সাংবাদিকদের খবর দেন।
বিকেল ৫টার দিকে শহীদ মিনার সংলগ্ন জালিয়াতি চক্রের ২ থেকে ৩ জন পরীক্ষার্থীকে (সুরাইয়া) ৭ম শিফটের পরীক্ষার বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বলতে থাকে। তাদের গতিবিধি সাংবাদিকদের নজরে আসে এবং তারা নিরাপত্তাকর্মীদের খবর দেয়। নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলে সাংবাদিকরা তাদেরকে দেখিয়ে দেয় এবং ধাওয়া করে ধরিয়ে দেয়।
পরে তাদেরকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার মুঠোফোনে এবং পকেটে জালিয়াতির চেষ্টা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যায়। এ ছাড়া জালিয়াতি চক্রের একজন (জামালকে) ফোন করে কাজ হয়েছে কিনা জানতে চান।
এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা জামালকে দিয়ে কথা বলিয়ে ওই জালিয়াতি চক্রের মফিজ নামক হোতাকে বটতলায় দেখা করতে বলেন। মফিজকে ধরার চেষ্টায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং নিরাপত্তাকর্মীরা বটতলার সামনে আসলে সে পালিয়ে যায়। জালিয়াতি চক্রের জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরীক্ষার্থী সুরাইয়াকে পুলিশি হেফাযতে নেয়া হয় এবং বাকি ৫জনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তপনকুমার সাহা বলেন, সব বিষয় তথ্যপাত্য খতিয়ে দেখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫ জনকে জালিয়াতি চক্রের সাথে জড়িত থাকার ঘটনায় পুলিশে দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন