জিততে হলে ক্যারিয়ারের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে
প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের মত হলো না তৃতীয় দিনটা। বাংলাদেশ আজ অনেক ডমিনেন্ট পজিশনে থাকতে পারতো; কিন্তু দিনের শুরুতে আমাদের ব্যাটসম্যানদের কিছু ভুলের কারণে সেটা আর হলো না। তবুও বোলিং দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরে এসেছে, তাতে এখনও আমি মনে করি জয়ের সম্ভবনা আছে। কাজটা যদিও বেশ কঠিন হবে, তাতেও ধৈয্য ধরে খেলতে পারলে এবং নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে পারলে বাংলাদেশই জিততে পারবে বলে আমার বিশ্বাস আছে।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৭২ রান পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। উইকেটে সাকিব আল হাসান। অপেক্ষায় ছিলো দুই অভিষিক্ত সাব্বির আর মিরাজ। সাকিব যদি সকালে একটু ধরে খেলতে পারতো, তাহলে সাব্বির-মিরাজরাও সাহস পেতো; কিন্তু সাকিব দিনের দ্বিতীয় বলে যেভাবে উইকেটটা দিল, তাতেই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেলো বাংলাদেশ। পরের ব্যাটসম্যানরাও আর ইনিংসটা ধরতে পারলো না।
সাকিবের আউটটা নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে দেখছি। ক্রিকেটার হিসেবে আমি সাকিবের পক্ষেই দাঁড়াবো। সাকিব হয়তো ওই সময় ভেবেছিল, মঈন আলিকে যদি একটা বিগ শট খেলা যায়, তাহলে তারাই উল্টা চাপে পড়ে যাবে; কিন্তু ব্যাটে-বলে ঠিক মত হয়নি। যদি হতো, তাহলে সাকিবের ওই শটটির জন্য সবাই তাকে বাহবা দিত। হয়নি বলে সমালোচনা হচ্ছে। আমাদের ক্রিকেটারদের জীবনটাই এমন। কোন ঝুঁকি নিয়ে ভালো খেলতে পারলে বাহবা পাই। আর ভালো করতে না পারলে কঠিন সমালোচনার মুখোমুখি হই।
২৪৮ রানে অলআউট হওয়ার পর আমরা শুরুতেই ৪৫ রানে পিছিয়ে থাকলাম। অন্তত তাদের সমানও যদি রান করতে পারতাম, তাহলে এই পিছিয়ে পড়া লাগতো না। বলতে গেলে আমরা অনেকটাই এগিয়ে থাকতাম। সেটা আর সম্ভব হলো না।
তবে সাকিব তো বল হাতে পুষিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে সেই আজ সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইংল্যান্ড ৬ষ্ঠ উইকেটে যে জুটিটা গড়তে পেরেছে, সেটাই আমাদের অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। বেন স্টোকস আর জনি বেয়ারেস্টো ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। তবুও বলবো, আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। বিশেষ করে সাকিব। সে আবারও নিজেকে প্রমাণ করেছে, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে।
এখন বাকি কাজ হলো, আগামীকাল সকালে ইংল্যান্ডকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করে দিতে হবে। যাতে লক্ষ্যটা ২৮০ থেকে ২৮৫ রানের বেশি না হয়। অন্তত তিনশ’ রানের মধ্যে। তবুও লক্ষ্যটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। কারণ, চট্টগ্রামে এই টেস্টের উইকেট অনেক কঠিন। প্রথমদিন থেকেই ব্যাটসম্যানদের স্ট্রাগল করতে হচ্ছে।
তবুও এটা সম্ভব। যদি আমাদের ব্যাটসম্যানরা ধৈয্য ধারণ করতে পারে। অন্তত তিন থেকে চারটা মাঝারি মানের জুটি গড়তে হবে। একটা কিংবা দুটা বড় জুটি হতে হবে। এটা করতে হবে উপরের সারির ৫-৬ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যেই। তবেই আমার মনে হয় টেস্টটা জেতা সম্ভব। এ জন্য নিজেদের ক্যারিয়ারের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে আমাদের। আর ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সামলাতে হবে মঈন আলিকে। তার বলই এই টেস্টে বেশ কঠিন মনে হচ্ছে আমার কাছে। তাকে সামলিয়ে অন্যদের ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পারলেই আশা করি ফল পক্ষে আসবে।
আবার চট্টগ্রামের উইকেট প্রথম থেকে বেশ কঠিন হলেও আমার মনে হয়, শেষ দিকে উইকেটের চরিত্র বদলে যেতে পারে। স্পিনাররা টার্ন নাও পেতে পারেন। ২০০৮ সালে আমার নেতৃত্বে খেলা এই মাঠে একই রকম একটি টেস্টের ঘটনা মনে আছে। সেবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা জিতেই যাচ্ছিলাম প্রায়; কিন্তু শেষ দিন উইকেটের চিত্র বদলে যায়। যে কারণে, আমাদের বোলাররা টার্ন পায়নি। ২১৬ চেজ করে জিতে যায় নিউজিল্যান্ড।
তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ইংল্যান্ডের হাতে বেশ ভালো বোলার রয়েছে। বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ কিংবা মঈন আলিরা অনেক ভালো বোলার। তাদের কাছ থেকে ম্যাচ বের করতে হলে অনেক ধৈয্য ধরে খেলে, বড় পার্টনারশিপ করতে পারলেই আমাদের জেতা সম্ভব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন