জেনে নিন ভয়ংকর ভূতুড়ে কিছু কবরস্থান সম্পর্কে!
কবরস্থান এমনিতেই ভূতুড়ে। রাতের বেলা একা কোন সমাধিস্থলের ভেতর দিয়ে চলতে গেলে বড় বড় সাহসীদের বুকটাও কেঁপে উঠবে খানিকটা। আর সেই কবরে যদি থাকে ভূত তাহলে তো আর কথাই নেই! কিন্তু কবরস্থানে কি সত্যিই ভূত থাকে? ভূতে বিশ্বাস করুন কিংবা না করুন, আত্মা বা অশরীরি কোন শক্তি যে পৃথিবীতে একটু হলেও আছে সেটা তো বিশ্বাস করেন? বিশেষ করে সেটা যদি হয় ভূতুড়ে কোন কবরস্থানের ভেতরে? চলুন ঘুরে আসি এমনই ভূতুড়ে কিছু কবরস্থান থেকে!
১. সেইন্ট লুইস সিমেট্রি: সমাধিস্থানে মানুষ কেন আসে? ভাবছেন, এ আবার কেমন প্রশ্ন? সমাধিস্থানে তো মানুষ আসে মৃতদের সমাধি দিতেই। হ্যাঁ! কথাটা ঠিক। কিন্তু সেইন্ট লুইস সিমেট্রির ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ঠিক অতটা সত্যি নয়। প্রতি বছর বেশকিছু পর্যটক এখানে আসেন এবং কেবল পর্যটক হিসেবেই! নিউ অরলীন্সে অবস্থিত এই সিমেট্রি বা কবরস্থানে রয়েছে বিখ্যাত ভুডু বা জাদু-টোনার রানী মেরি লিভ্যুও এর সমাধি। আর মৃত্যুর পরেও এই জাদুকর নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে চলেছেন বছরের পর বছর ধরে এমনটাই বিশ্বাস সবার। আর তাই কোনরকম সমস্যায় পড়লে সবাই সোজা চলে আসে সেইন্ট লুইস সমাধিস্থানে। আর ছোট্ট একটা টোকা মারে মেরি লিভ্যুর সমাধিতে। কথিত আছে, টোকা মারলেই নাকি যেকোন সমস্যার সমাধান করতে বাইরে চলে আসেন জাদুকর!
২. গ্রেফ্রিয়ার্স কির্কিয়ার্ড: সমাধি তো অনেক দেখেছেন। কিন্তু ভূত দেখা যায় এমন কোন সমাধি কি আজ অব্দি দেখতে পেয়েছেন? বাজ ওয়ার্ড অনুসারে, গ্রেফ্রিয়ার্স কির্কিয়ার্ড নামক স্কটল্যান্ডের এই সমাধিস্থলে রয়েছে ভূত এবং ভূত দেখানোর বিশেষ ব্যবস্থাও! বিশেষ করে এখানকার অন্যতম ভুত স্যার জর্জ ম্যাকেঞ্জির কথা তো না বললেই নয়। দর্শনার্থীদের কথামতে এই অতিমানবীয় শক্তি কিংবা ভূতেরা জিনিসপত্র ছুঁড়ে মারতেও বেশ পারদর্শী।
৩. স্টুল সিমেট্রি: কানসাসের ডগলাস কাউন্টিতে অবস্থিত এই সিমিট্রিতে আরো অনেক সমাধস্থলের মতনই রয়েছে ভূত থাকবার গুজব। কিংবা কে জানে, হয়তো সত্যিই ভূত রয়েছে এখানে। তবে কথিত রয়েছে এই সমাধিস্থলের ভেতরে, বিশেষ করে চার্চের কাছটায় খারাপ শক্তিদের উপস্থিতির বেশ ঘটা দেখা যায়। ভাবছেন এটুকুতেই শেষ? না! ভূতুড়ে আত্মার সাথে সাথে বাড়তি হিসেবে স্টুল সিমিট্রিতে রয়েছে নরকে যাওয়ার রাস্তাও। এই সমাধিস্থল থেকে সোজা নরকে চলে যাওয়া যায় বলে কথিত রয়েছে। হন্টেড আমেরিকা ট্যুরসে এ স্থানটিতে শয়তান তার হারিয়ে যাওয়া পূজারীদের সাথে সাক্ষাৎ করতো বলেও উল্লেখ করা হয়।
৪. গ্লাসনেভিন সিমেট্রি: ডাবলিনের এই সমাধিস্থানটিকে ঘিরে রয়েছে ভূতুড়ে এবং একই সাথে কষ্টদায়ক একটি সত্যি। সেবার নিজের প্রভুভক্ত কুকুরকে ছেড়ে একেবারের মতন অন্য দুনিয়ায় চলে যান ক্যাপ্টেন জন ম্যাকনেইল বয়েড। তার সমাধি তৈরি হয় গ্লাসনেভিনে। আর সমাধি নির্মানের পরপরই সেখানে একেবারের মতন থিতু হয়ে যায় মনিবের প্রভুভক্ত কুকুরটি। এরপর আর শত চেষ্টাতেও কিছু কিছু খাওয়াতে কিংবা ঐ স্থান থেকে নড়াতে পারা যায়নি তাকে। ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে কুকুরটি। তবে আজ অব্দি মনিবকে ভোলেনি সে। প্রায়ই কুকুরটির আত্মাকে দেখা যায় মনিবের কবরের কাছে।
৫. রিসারেকশন সিমেট্রি: ব্লাডি মেরিকে কে না চেনে? খুব বেশি না জানলেও প্রায় প্রত্যেকের কাছেই বেশ পরিচিত নামটি। আর এই বিখ্যত ব্লাডি মেরির সমাধিটিই রয়েছে ইলিনয়সের এই সমাধিস্থলে। প্রায়ই ব্লাডি মেরিকে নিজের সমাধি থেকে উঠে আসতে দেখা যায় বলে দাবী করেন স্থানীয় মানুষেরা। কখনো মেরি আসে ছোট কোন বাচ্চার বেশে। সমাধির ওপরে বসে কাঁদতে থাকে সে। আবার কখনো মন ভালো থাকলে নাচতেও দেখা যায় তাকে!
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন