জেলখানার শৌচাগারে সোনার “ডিম” পাড়ল আসামি!
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের হাজতখানার শৌচাগারে সোনার “ডিম” পাড়ল আরিফ উল্লাহ মুন্সি নামে এক আসামি।
জানা গেছে, বিমানবন্দর থানার ১৮ (১) ১৬ নম্বর মামলার আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি (৩৬)। মালেশিয়া থেকে আসা এ যাত্রী রবিবার সকালে বিজি-০৮৭ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ তার দেহ তল্লাশির সময় তিনশ গ্রাম ওজনের ৩টি সোনার বার, এক বোতল বিদেশি মদ এবং ৬৮ কার্টন সিগারেট উদ্ধার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়।
সোমবার ওই মামলায় বিমানন্দর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে এ আসামিকে বেলা ২টার দিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন।
আদালতে আসার পর রিমান্ড আবেদনের শুনানি আগে তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে রাখা হয়। ওই কক্ষে থাকা অবস্থায় সে শৌচাগারে যেতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল শওকত তাকে শৌচাগারে নিয়ে যান। সেখান থেকে বের হওয়ার পর আসামি আরিফ উল্লাহকে কিছু লুকাতে দেখতে পান কনস্টেবল শওকত। এতে তার সন্দেহ হলে তিনি আসামমি আরিফকে কাছে ৩টি সোনার বার দেখতে পান। এরপর কনস্টেবল শওকত হাজতখানার ওসি হাজত মুরাদ হোসেনকে বিষয়টি জানালে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরিফ জানান, পশ্চাদ্দেশ দিয়ে ঢুকিয়ে পেটের ভেতরে ৩টি বার নিয়ে এসেছিলেন। শৌচাগারে গেলে ওই ৩টি বার পায়খানার সঙ্গে বের হয়ে আসে। উদ্দেশ্য ছিল রিমান্ড শুনানিকালে তাকে আদালতে তোলা হলে ওই ৩টি বার তার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে দিয়ে দেবেন।
পরে ওসি হাজত মুরাদ হোসেন বিষয়টি ঢাকার সিএমএম এবং ডিসি প্রসিকিউশনকে জানালে তারা সোনার বার ৩টি জব্দ করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করার নির্দেশ দেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওসি হাজত মুরাদ হোসেন রাজধানার কোতয়ালী থানায় এ আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানার সুলতান পুর গ্রামের মোহাম্মাদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন