জ্যান্ত সাপ গিলে ফেললেন বাংলাদেশি যুবক!
এতোদিন টেলিভিশনের ডিসকভারি চ্যানেলে জ্যান্ত সাপ, কেচো, কাঁকড়া ও ব্যাঙ সহ বিভিন্ন পোকামাকড় খাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এবার জয়পুরহাটে বাস্তবেই সেই কাজটি করে দেখালেন কলেজ পড়ুয়া জাহাঙ্গীর। জ্যান্ত সাপ,ব্যাঙ, কেঁচো ও কাঁকড়া খেয়ে রীতিমত হৈ চৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। ডিসকভারি চ্যানেলে প্রচারিত দুর্গম ভ্রমণ অনুষ্ঠানের বিয়ার গ্রিলসকে অনুসরণ করে তিনি এই অসাধ্য সাধন করেন।
জয়পুরহাট সরকারি কলেজের বিএ শেষ বর্ষের ছাত্র জাহাঙ্গীর। থাকেন জয়পুরহাট শহরের সিও কলোনির এক ভাড়া করা বাসায়। বাবা কক্সবাজার জেলার পুলিশ কনস্টেবল। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জাহাঙ্গীর সবার বড়। পড়াশোনার ফাঁকে টেলিভিশনে ডিসকভারির দুর্গম ভ্রমণ অনুষ্ঠান তাকে আকৃষ্ট করে। অনুষ্ঠানে বিয়ার গ্রিলস এর সাপ পোকা মাকড় খাওয়ার দৃশ্য তাকে উদ্বুদ্ধ করে রীতিমতো।
নিজেকে বাংলাদেশের বিয়ার গ্রিলস হিসেবে পরিচিত করতে প্রায় দুই বছর আগে থেকে জাহাঙ্গীর পোকামাকড় খাওয়ার অনুশীলন শুরু করেন। ভালভাবে রপ্তের পর শুধু ব্যাঙ, কাঁকড়া বা কেঁচোই নয়, বিষধর জ্যান্ত সাপও খেয়ে ফেলছেন জাহাঙ্গীর! তার এই অসাধ্য সাধনের বিষয়টি জানাজানির পর হৈ চৈ পড়ে যায় শহরে। জাহাঙ্গীরের দাবি, পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিয়ার গ্রিলসকেও ছাড়িয়ে যাবেন তিনি ।
জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা বেগম জানান, বড় ছেলে জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন থেকে ডিসকভারি চ্যানেলে সাপ পোকামাকড় খাওয়ার অনুষ্ঠান মনোযোগের সঙ্গে দেখে আসছেন। তবে টেলিভিশনে দেখা দৃশ্যের মত সে নিজেই সাপ ব্যাঙ পোকা মাকড় খেতে শুরু করেছেন এমন কথা পরিবারের জানা ছিল না। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানার পর এ অবস্থায় ছেলে কোনও অসুখে আক্রান্ত হন কিনা তা নিয়েই বরং চিন্তিত তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাহাঙ্গীরের কয়েকজন বন্ধু বলেন, জাহাঙ্গীর যেভাবে জ্যান্ত সাপ, ব্যাঙ বা পোকামাকড় খাওয়া শুরু করেছে তাতে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে। আর মহল্লার মানুষও বিষয়টি ঠিক ভাল চোখে দেখছেন না।
জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, আপাতদৃষ্টিতে এ ঘটনা বিচিত্র বটে! সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আর স্বাস্থ্যর জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ কাঁচা মাংসে প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। ব্যাক্টেরিয়ামুক্ত রাখার জন্যই সাধারণত রান্না করে খেতে হয়। তবে ঠিকভাবে পরিষ্কার করে খাওয়ার পর কেউ যদি সেটা ভালোভাবে হজম করতে পারে, তো স্বাস্থ্যের ক্ষতি নাও হতে পারে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন