প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টায় জড়িত সকল ষড়যন্ত্রকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সুচিন্তা বাংলাদেশ এর স্টুডেন্ট উইংস ঢাকা দক্ষিণ শাখা।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

সুচিন্তা স্টুডেন্ট উইংস ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক মুহম্মদ ইমাম হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক ড. আশরাফুল ইসলাম সজিব, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি সৈয়দ এ এইচ আশিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সহ-সম্পাদক ফারজানা আক্তার সুপর্ণা।

বিক্ষোভ সমাবেশে ড. আশরাফুল ইসলাম সজিব বলেন, ‘আমরা যে মানুষের জন্য আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি সে মানুষটির কী অপরাধ আমরা বুঝি না। আগের সরকারের (খালেদা) যিনি সন্তান (তারেক) ছিলেন তিনি হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু আমাদের অহংকার সজিব ওয়জেদ জয় সে রকম কোনো হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেননি। হয়তো সেটাই তার বড় অপরাধ। দেশবিরোধী চক্র, শফিক রেহমান, তারেক রহমান আবারও চক্রান্ত করছে ডিজিটাল বাংলাদেশের নেপথ্যের নায়ককে শেষ করে দিতে। এটি তাদের রাজনীতির নীল নকশা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি।’

এরশাদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘জয়কে অপহরণ এবং হত্যা ষড়যন্ত্রকারী শফিক রেহমান সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। আমি বাংলার সেই কুলঙ্গার মহিলাকে দোষ দিতে চাই। আজকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেপথ্যে ভূমিকার মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া তা স্তব্ধ করে দিতে চায়। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের এই সমাবেশ থেকে আমি খালেদা জিয়াসহ জয় হত্যার চক্রান্তকারীদের কঠোর বিচার দাবি করছি।’

সৈয়দ এ এইচ আশিক বলেন, ‘সজিব ওয়াজেদ জয় উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন আইটি বিষয়ে। তার সেই পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে নেপথ্যে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আজকে আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যে প্রযুক্তি, খেলাধুলা, অর্থনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছি তার প্রত্যেকটি জায়গায় নেপথ্যে নায়ক সজিব ওয়াজেদ জয়। আর তাকেই কিনা অপহরণ এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জয় হত্যা চেষ্টায় শফিক রেহমান এবং বিএনপি জড়িত। আমরা তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’