ঝিঁঝিঁপোকার যৌন জীবন হার মানাবে নীলছবিকেও!
ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন দিয়ে তোলা একটি ফুটেজ দেখে তো বিজ্ঞানীদের চোখ ছানাবড়া! ঝিঁঝিঁপোকারা যে এমন উন্মত্ত প্রেমিক, তা কে জানতো৷
খেয়ালই বটে! ব্রিটেনের এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানীরা উত্তর স্পেনের আস্তুরিয়াসের একটি মাঠে ১৫২টি ঝিঁঝিঁপোকা পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ অবশ্য তাদের মেঠো ঝিঁঝিঁপোকা না বলে, গ্রিলাস কাম্পেস্ট্রিস বলাই উচিৎ৷ দ্বিতীয়ত, তাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে ৯৬টি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন দিয়ে, যাতে ঝিঁঝিঁপোকারা নড়লে-চড়লে কিংবা কোনও রকমের আওয়াজ করলেই তা রেকর্ড করা হবে৷ প্রত্যেক ঝিঁঝিঁপোকার পিঠে আবার একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে, যা একমাত্র ক্যামেরার চোখে পড়বে৷ এছাড়া প্রত্যেক ঝিঁঝিঁপোকার ডিএনএ’র নমুনা নেওয়া হয়েছে, যা’তে তাকে এবং তার ভবিষ্যৎ সন্তান-সন্ততিদের সনাক্ত করা যায়৷
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য
ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই বিজ্ঞানীরা বুঝেছেন, ঝিঁঝিঁপোকাদের কার্যকলাপ সম্প্রচার করলে সেন্সর বোর্ডের কোপে পড়তে হবে৷ তবে সাধারণ কিছু তথ্য পরিবেশন করা চলতে পারে৷ যেমন ঝিঁঝিঁপোকারা যে শুধু গান গেয়েই স্ত্রী ঝিঁঝিঁপোকাদের আকৃষ্ট করে, শুধু তা নয়! তারা রীতিমতো ‘‘যৌন শিকারে” বের হয়৷ দম্পতিদের একযোগে ৪০ বার সহবাস খুবই স্বাভাবিক৷ আবার স্ত্রী ঝিঁঝিঁপোকারা তারই ফাঁকে আশপাশের পুরুষদের সঙ্গে চটজলদি সহবাস করে আসে৷
বংশবৃদ্ধি
স্ত্রী ঝিঁঝিঁপোকারা ডিমগুলো মাটির ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়৷ সেই স্থানটির ও ডিমগুলির সুরক্ষার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করে থাকে৷ সকলেই গ্রীষ্ম অবধি শত শত ডিম পাড়ে, কিন্তু সবচেয়ে সফল স্ত্রী’দেরও গোটা কয়েক ছানা ছাড়া আর কিছু বাঁচে না৷ আর পুরুষ ঝিঁঝিঁপোকাদের তো কথাই নেই, তাদের অধিকাংশই কোনও ছানাপোনা রেখে যেতে পারে না৷
‘সে ইট উইথ মিউজিক’
সম্প্রতি ‘‘সায়েন্স” সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে অপর একটি দিকও চোখে পড়ার মতো! পুরুষ ঝিঁঝিঁপোকাদের স্ত্রী’দের আকর্ষণ করার ক্ষমতার সঙ্গে তদের প্রজনন ক্ষমতার কোনও সম্পর্ক নেই৷ অপরদিকে দাপটশালী পুরুষদের যতো ছানাপোনা হয়, যে সব পুরুষরা নিয়মিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারে, তাদেরও ঠিক ততটাই হয়৷ আবার যে সব পুরুষরা বেশীক্ষণ ধরে ‘‘গান গায়”, তারা বেশী সঙ্গিনী পায় বটে, সাইজে ছোট ঝিঁঝিঁপোকাদের কিন্তু বেশী সন্তান অর্জনের জন্যই গান গাইতে হয়৷ বড়মাপের ঝিঁঝিঁপোকাগুলোর অত ভালো গান না গাইলেও চলে৷
এক্সেটারের জীববিজ্ঞানী টম ট্রেগেঞ্জা একে একদিকে বলেছেন, ঝিঁঝিঁপোকাদের সোপ অপেরা৷ অন্যদিকে ডারউইনীয় ‘‘ন্যাচারাল সিলেকশন” বা ‘প্রকৃতির বাছাই’৷ দুটো’ই হয়তো ঠিক৷
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন