ঝিনাইদহে সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
আতিক টুটুল, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার সকল উপজেলায় লাইব্রেরীতে প্রকাশ্যে চলছে লেখক বিহীন নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। প্রকাশনা ও পুস্তক বিক্রেতার সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। স্থানীয় একটি পুস্তক বিক্রেতা প্রকাশক লেখক বিহীন এসব গাইড বই বাজার জাতের মাধ্যমে ফায়দা লুটছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন উপজেলার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লেখক বিহীন নিষিদ্ধ নোট গাইড,গ্রামার ও ব্যাকরন বই কিনতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়ে বাধ্য করছেন। অভিযোগ আছে মহেশপুরের পাতরা,জলুলী, রুলি,বাগানমাঠ,সাতপাড়া,জলিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাজী ঈমান আলী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে লেখক বিহীন“নলেজ পাওয়ার একের ভিতর সব” নামক গাইড বই চালানো হচ্ছে বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী বিষয়টি প্রমান সাপেক্ষে খাতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধোত্বন কতৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষে কামনা করেছেন।একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানাগেছে, শিক্ষার্থীদের টার্গেটে রোখে নতুন বছরের শুরুতেই মহেশপুর উপজেলার বইয়ের দোকান গুলোতে গাইড বইয়ে সয়লাব। লাইব্রেরী গুলোতে প্রকাশ্যে চলছে এসব লেখক বিহীন গাইড বইয়ের প্যাকেজ ব্যবসা। নির্দিষ্ট প্রকাশনার প্রতিনিধিরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ম্যানেজ করে শীক্ষার্থীদের এসব লেখক বিহীন গাইড কিনতে উৎসাহিত করছেন।
এজন্য তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাঙ্গে অলিখিত চুক্তির মাধমে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করছে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও পুস্তক বিক্রেতাদের গড়া সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অভিভাবকদের বই কিনতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ৬টি উপজেলার নির্দিষ্ট লাইব্রেরীতে এসব গাইড বই কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা এজেন্টরা স্থানিয় পুস্তক ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অলিখিত চুক্তি করে এসব গাইড বই বিক্রির ব্যবস্থা করেছে।
নির্দিষ্ট ওই কোম্পানি ছাড়া অন্য কোন কোম্পানির বই বিক্রি করছেনা পুস্তক ক্রেতারা। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বুকলিস্ট ধরিয়ে দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের হাতে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বই কিনতে আসা হাজী ঈমান আলি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আমার ছেলে ঐ স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র।
লেখক বিহীন“নলেজ পাওয়ার একের ভিতর সব” নামক গাইডের নাম উল্লেখ করে শিক্ষকরা এ বুকলিস্ট দিয়েছে তাই আমি এসব গাইড বই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। ওদের স্কুলে পড়ে,ওরা যা কিনতে বলে তাই আমাদের কিনতে হবে।হাজী ঈমান আলি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান সিদ্দিকের নিকট জানতে চাওয়া হলে বুকলিস্ট দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি জানান,সরকারীভাবে গাইড বই নিষিদ্ধ সেটা আমার জানা নেই। যদি এরকম নির্দেশনা থাকে তাহলে আমরাও করবনা।নিষিদ্ধ গাইড বই প্রকাশে বিক্রির বিষয়ে মেসার্স বইঘর মহেশপুর এর প্র-পাইটার আরীফের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমার ভাই ছামছুলের নিকট জানেন।
ফোনে লেখক বিহীন ‘নলেজ পাওয়ার একের ভিতর সব’ গাইড সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তেলেবেগুনে জ¦লে উঠে ছামছুল বলেন লেখক থাক আর না থাক এটা আপনার কি দরকার। ফোনে উচ্চস্বরে এ প্রতিবেদককে বলেন হাইকোর্ট রায় দিয়েছে গাইড বই বিক্রির জন্য ও বাংলাদেশ সরকার বেচতে বলেছে আপনি জিজ্ঞাসা করার কে আমাকে ফোন করেছেন কেন দুই টাকার সাংবাদিক হয়ে খুব ইয়ে হয়ে গেছেন তাইনা এর জন্য আপনাকে জবাব দিতে হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আঃ মুজিদ বলেন এটা সমিতিগত কোন বিষয় না আর এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি চুরি করে চালায় তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান,আমরা গাইড বই ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এরপর যদি কোন প্রতিষ্ঠান গাইড বই চালায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করব। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশাফুর রহমান জানান,ইতিমধ্যে আমরা খালিশপুরে লাইব্রেরী ও স্কুলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গাইড বই জব্দ করেছি এবং মেজ্যিস্টেট না থাকার কারনে অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে তবে বিষয়টা আমাদের জানা আছে,ব্যাবস্থা নিচ্ছি এবং আরো নেব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীনকে ধরতে ডিবির পরিকল্পনা
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ধারণা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমবিস্তারিত পড়ুন
তৃতীয়বার আনারকে মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে: কাদের
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) স্বর্ণ চোরাচালানকারীবিস্তারিত পড়ুন
মাস্টারমাইন্ড শাহীনের অগাধ রহস্য
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় হত্যাকাণ্ডেবিস্তারিত পড়ুন