টাম্পাকো বিস্ফোরণ: আরো একজনের মৃত্যু
গাজীপুরের টঙ্গীর প্যাকেজিং কারখানা টাম্পাকো ফয়লসে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনায় তিন দিন পর হাসপাতালে মারা গেলে মনোয়ার হোসেন নামে একজন। তিনি ওই কারখানায় লদ সেকশনের দায়িত্বে ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার আনাখান্দ এলাকার।
মঙ্গলবার রাতে ধানমন্ডির নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তাকে নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৪ জনে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান খান কিরণ মনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শনিবার ভোরে টাম্পাকোয় বিস্ফোরণের পর পর আগুন ধরে যাওয়ার পর গুরুতর আহত হন মনোয়ার। সেদিন তাকে ধানমন্ডি নর্দান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গত শনিবার টাম্পাকো দুর্ঘটনার পর ধসে পড়েছে গোটা ভবনটিই। চার দিনেও শেষ করা যায়নি উদ্ধার অভিযান। কারখানার ভেতরে এখনও বেশ কয়েকজনের মরদেহ হয়ে গেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে এখনও ১০ জনেরও বেশি নিখোঁজের নাম রয়েছে। নিখোঁজদের স্বজনরা এখনও ভিড় করেন দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে।
টাম্পাকো বিস্ফোরণের দুই দিন পর থেকেই উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর একটি দল। তাদেরকে সহযোগিতা করছে ফায়ার সার্ভিস। তারা ধরে পড়া ভবনের দেয়াল কেটে সরিয়ে নিচ্ছে।
এই দুর্ঘটনায় কারখানা মালিক বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেনসহ আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন এক শ্রমিকের বাবা। তবে মকবুল বা অন্য কেনো আসামি গ্রেপ্তার হননি এখনও।
টাম্পাকো দুর্ঘটনার ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসসহ তিনটি কমিটির প্রতিবেদন এখনও জমা পড়েনি। ফলে দুর্ঘটনাটি কীভাবে ঘটলো সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যবিস্তারিত পড়ুন
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের দাবি গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় পার্টিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধ করাসহ তিন দাবি জানিয়েছেবিস্তারিত পড়ুন
নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন খালেদা জিয়া
গণ অধিকার পরিষদের আহত সভাপতি নুরুল হকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন













