ট্যাটু যেমন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে আপনার সম্পর্কে
ট্যাটু শুধু ফ্যাশনের অংশ নয়। ট্যাটুর সাথে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন জাতিসত্ত্বার ইতিহাস। সেই আদিযুগ থেকে থেকে শরীরে স্থায়ীভাবে চিহ্ন অঙ্কনের এই প্রথাটি চলে আসছে। সে সময়ে ট্যাটু আঁকা এতই কষ্টদায়ক ছিল যে তা কখনো কখনো মৃত্যুরও কারণ হত। এ যুগের ট্যাটু আঁকাও যথেষ্ট কষ্টদায়ক। অসাবধানতার কারণে নানান শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই ঝুঁকি নেওয়ার সাহস অনেকেই করেন না। তাই ট্যাটু একজন মানুষের রুচিবোধকেই তুলে ধরে না, একইসাথে তার সুস্থতা এবং সাহসের পরিচয়ও বহন করে।
নারী এবং পুরুষ ভেদে ট্যাটুর ব্যবহার কি ভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে অন্যদের মাঝে? সেই প্রতিক্রিয়াও কি নারী দর্শক এবং পুরুষ দর্শক ভেদে ভিন্ন হয়? ডা. ভিনিতা মেহতা এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা তুলে ধরেছেন সাইকোলজি টুডেতে। পুরুষের শরীরে অঙ্কিত ট্যাটু অন্যদের মাঝে তার সম্পর্কে কী বার্তা পৌঁছে দেয় তা বোঝাই ছিল এই গবেষণার উদ্দেশ্য। গবেষণাটি করেন পোল্যান্ডের গবেষক Andrzej Galbarczyk এবং Anna Ziomkiewicz। তারা ৯ জন পুরুষকে নিয়ে আসেন ক্যামেরার সামনে। এদের প্রত্যেকে কোমরের উপরের অংশের ছবি নেওয়া হয়। খালি গায়ে, একই অঙ্গভঙ্গি, মুখের সাধারণ ভঙ্গি, একই ব্যাকগ্রাউন্ড এবং একই পোজে ছবি তোলা হয় সবার। একবার ট্যাটু ছাড়া, পরে ট্যাটু অঙ্কন করে। মডেলদের বয়স ছিল ১৯ থেকে ৩৫ বছর। এরপর ২,৩৬৯ জন নারী এবং ২১৫ জন পুরুষকে দেখতে দেওয়া হয় ছবিগুলো। তাদেরকে বলা হয় আকর্ষণ ক্ষমতা, স্বাস্থ্য, পুরুষত্ব, কর্তৃত্বপরায়ণতা, আধিপত্য বিস্তার, যোগ্য সঙ্গী এবং যোগ্য বাবা ক্যাটাগরিতে রেটিং করতে। ফলাফলে দেখা যায়, নারীরা ট্যাটু অঙ্কিত পুরুষদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হিসেবে যতটা বেশী রেটিং করেছেন, আকর্ষণীয় ব্যক্তি হিসেবে করেছেন তার চেয়ে কম। পুরুষরা করেছেন ঠিক তার উল্টো। তাদের কাছে স্বাস্থ্যের চেয়ে আকর্ষণের পরিচায়ক হয়ে উঠেছে ট্যাটু।
নারীরা ট্যাটুকে কর্তৃত্বশীলও মনে করছেন। যেমন সঙ্গী তারা পেতে চান তেমন পৌরুষও খুঁজে পাচ্ছেন এখানে। অন্যদিকে পুরুষরা এক্ষেত্রে কম রেটিং করছেন। তাদের চোখে শরীরের এই বাড়তি সজ্জা দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল হিসেবেই ধরা পড়েছে। গবেষকরা মনে করেন। নারী-পুরুষের এই দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যের কারণ হল- নারীরা পুরুষের যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করেন তাদের সুস্বাস্থ্য যা যৌন ক্ষমতা এবং পিতৃত্বের সক্ষমতার সাথে জড়িত। বাহ্যিক আকর্ষণের চাইতে এই বিষয়গুলো তাদের কাছে মূখ্য। আর পুরুষরা অপর একজন পুরুষকে দেখেন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে। তাই তাদের মতামতও ভিন্ন হয়ে থাকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন