রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ট্রাম্পের মুসিলম নিষেধাজ্ঞা: বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ-আতঙ্ক

দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহ পূর্ণ করার দিনই বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা বলে নেওয়া ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবার বিশ্বজুড়ে বইছে ক্ষোভ আর নিন্দা। একই সঙ্গে মুসলিম শরণার্থীদের মাঝে আতঙ্কের ছায়াও নেমে এসেছে।

শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে তিন মাসের জন্য ৭ মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে স্থগিতাদেশ দেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য স্থগিত করেন তিনি। তবে সব শরণার্থীর বেলায়, কর্মসূচি স্থগিতের মেয়াদ নির্দিষ্ট ৪ মাস হলেও সিরিয়ার ক্ষেত্রে এই মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের। প্রশাসনের শরণার্থী সীমিতকরণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন নবনির্বাচিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের ক্ষেত্রে মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মুসলিমদের বদলে খ্রিস্টান ও সংখ্যালঘুদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হয়। এভাবেই, যেন শরণার্থীদের বিভাজন-সূত্র প্রকাশ করলেন ‘বিভক্তির প্রেসিডেন্ট’!

ট্রাম্পের এ আদেশের খবর ছড়িয়ে পড়ার পড় বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী-রাজনীতিকসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছে। এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও এ সিদ্ধান্তের নিন্দা হচ্ছে।

ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির চিবুক বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়া’র সঙ্গে তুলনা করেছেন মার্কিন সিনেটের ডেমোক্র্যাট দলীয় নেতা চাক শুমার। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে ঐতিহ্যটি বিদ্যমান রয়েছে তা বাতিল করায় আজ রাতে স্ট্যাচু অব দ্য লিবার্টির চিবুক দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।’

দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (সিএআইআর) ট্রাম্পের এই এই আদেশকে মার্কিন সংবিধানের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করেছে। আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। তাদের অভিযোগ, ট্রাম্পের এ আদেশের মূল উদ্দেশ্য মুসলিম প্রধান দেশগুলোর ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা।

নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। নিজের পূর্ব প্রজন্মের শরণার্থী জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ এবং তারা আমাদের গর্ব’।

এক বিবৃতিতে জাকারবার্গ জানান, তার প্র-পিতামহরা জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও পোল্যান্ড থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন এবং তার স্ত্রীর বাবা-মা চীন ও ভিয়েতনামের অভিবাসী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসীদের দেশ, এবং আমাদের তা নিয়ে গর্বিত হওয়া উচিত। আমাদের উচিত শরণার্থী এবং যাদের সহায়তা দরকার তাদের জন্যও আমাদের দুয়ার খোলা রাখা। সেটাই আমাদের বৈশিষ্ট্য। কয়েক দশক আগে যদি আমরা শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিতাম তবে প্রিসসিলার (জাকারবার্গের স্ত্রী) পরিবার আজ এখানে থাকতো না।’
যেসব অনিবন্ধিত অভিবাসী শৈশবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে তাদেরকে কাজের সুযোগ দিতে বারাক ওবামা যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তা ট্রাম্প পাল্টে দেবেন না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি ।

নোবেলজয়ী পাকিস্তানের শিক্ষা অধিকারকর্মী মালালা ইউসূফজাই বলেছেন তিনি এ খবর শুনে তিনি খুব ব্যথিত হয়েছেন। ভগ্নহৃদয় নিয়ে তিনি বলেন, ‘শরণার্থী ও অভিবাসী যারা যুক্তরাষ্ট্রকে গড়তে সহায়তা করেছে, যারা সুন্দরভাবে জীবন কাটানোর সুযোগ পাওয়ার বিনিময়ে কঠোর পরিশ্রম করতে প্রস্তুত রয়েছে-তাদেরকে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের গৌরবের ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এখন তা থেকে দেশটি সরে আসছে।’

ইরাক যুদ্ধের সময় আত্মঘাতী বোমা হামলা থেকে নিচের ইউনিটকে বাঁচাতে গিয়ে প্রয়াত হন মার্কিন সেনা হুমায়ন খান। তার বাবা খিজির খানও ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘মুসলিম ও অভিবাসীদেরকে আক্রমণের লক্ষ্য করে ট্রাম্প সাংবিধানিক নীতি এবং মৌলিক আমেরিকান মূল্যবোধ ক্ষুণ্ণ করার যে দৌড়ে নেমেছেন তা খুবই উদ্বেগের। মুসলিমদের জন্য বৈষম্যমূলক করে আজ ট্রাম্প যে পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন এবং তিনি ও তার প্রশাসন যে পদক্ষেপগুলো নিতে পারেন, সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোটা প্রত্যেক আমেরিকানের জন্য অপরিহার্য।’

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র মার্কিন গবেষক গ্রেস মেং বলেন, ট্রাম্পের সর্বশেষ নির্বাহী আদেশের ফলে যাদের সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন তারাই অসুবিধায় পড়বে। কারণ তারা সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এখানে আসেছ। এতে করে বিশ্বের কয়েক লাখ শরণার্থীর জীবন বিপন্ন হবে অথচ এমন বৈশ্বিক সংকটে যুক্তরাষ্ট্রকেই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল

আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন

মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬

ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন

ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত

গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন

  • বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
  • একদিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৫৭ ফিলিস্তিনি 
  • কানে ব্যান্ডেজ নিয়ে সম্মেলনে ট্রাম্প
  • ওমানে বন্দুকধারীর হামলায় মসজিদের কাছে   ৪জন নিহত
  • ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তি দলের নিবন্ধিত ভোটার
  • প্রেসিডেন্ট মাসুদকে সতর্কতা ইরানিদের 
  • ভারতের সঙ্গে চুক্তিতে দেশের মানুষের আস্থা প্রয়োজন
  • ভারত আমাদের রাজনৈতিক বন্ধু, চীন উন্নয়নের : কাদের
  • ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা ইসলামিক জিহাদের
  • প্রথম বিতর্কের পর ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকছেন দোদুল্যমান ভোটাররা!
  • রেবন্ত রেড্ডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডু বৈঠক নিয়ে নানা জল্পনা
  • স্টারমারের দুঃখ প্রকাশের পরও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে ক্ষোভ