ডাক্তারবাবু, আপনি না মারা গেছেন!
সত্যি। এই জগতে কত কিছুই না হয়। নোট বাতিলের পর থেকে এটিএম আর ব্যাংকে ভিড় জমছে। বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে চিৎকার করছে। সাধারণ মানুষ খুচরো সমস্যায় জেরবার হচ্ছে আর জনপ্রিয় ডাক্তারদের অনেকের ফোন লাগাতার বেজেই চলেছে। রিসিভ করার পর একটাই প্রশ্ন- কখন মারা গেলেন ডাক্তারবাবু?
একটু খোলসা করেই বলা যাক। শিলিগুড়ির জনপ্রিয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জি বি দাস। নোট বাতিলের পর কেউ যেন রটিয়ে দেয়, আয়কর হানা হয়েছে তাঁর বাড়িতে। একবার নয়, বারবার। সেই ধাক্কা সামলাতে না পেরে মারা গেছেন তিনি। রটে গেল খবর। ব্যাস, আর যায় কোথায়। বাজতে লাগল ফোন। ভিড় জমতে লাগল ডাক্তারবাবুর বাড়ির সামনে। সবকিছু দেখেশুনে ভিরমি খেয়ে ডাক্তারবাবুর সত্যিসত্যিই মারা যাওয়ার জোগাড়। পরিচিত কারোর সঙ্গে দেখা হয়ে গেলে প্রশ্ন শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা-ডাক্তারবাবু, আপনি না মারা গেছেন!
চিকিৎসক জি বি দাস বলেন, প্রথম প্রথম মনে হয়েছিল, নিছক সন্দেহের বশেই কেউ ফোন করে তাঁকে জিজ্ঞাসা করছেন। পরে বুঝতে পারেন- কেউ গুজব রটিয়েছে তিনি মারা গেছেন। এখন কেউ যদি তাঁকে এই প্রশ্ন করেন, তাহলে তিনি উত্তরও দিচ্ছেন রসিকতা করে। তিনি আরও জানান, কেউ আবার সরাসরি তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, তিনি বেঁচে আছেন কি না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছুতেই রোগীর পরিবারকে তিনি বোঝাতে পারছেন না তাঁর কিছুই হয়নি। দিব্যি বেঁচে রয়েছেন। তবে প্রথম প্রথম এই ধরনের ফোনে মজা পেলেও, এখন আর অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এলে ধরছেন না চিকিৎসক জি বি দাস।
তবে শুধু শিলিগুড়িতেই নয়। এভাবেই দিনকয়েক আগে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল রায়গঞ্জের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। রটানো হয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কালো টাকা। ধাক্কা সামলাতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ডাক্তারবাবু। এরপর তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা ভিড় জমান তাঁর বাড়িতে। জানতে চান তিনি বেঁচে আছেন কি না। হাসিমুখে অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন তিনি।
জলপাইগুড়িতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। গুজব রটানো হয় চিকিৎসক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের নামেও। বলা হয় তিনি নাকি হৃদরোগে মারা গেছেন। একইভাবে ফোন আসতে থাকে। লোক ভিড় জমাতে থাকে। তিনি কিন্তু, হৃদরোগেও আক্রান্ত হননি। মারাও যাননি। চেম্বারে বসে দিব্যি রোগী দেখছেন।
কিন্তু, কেন এমনটা হচ্ছে ? লোকের মৃত্যু সংবাদ রটিয়ে কার কী লাভ ? কে রটাচ্ছে মৃত্যুর খবর ? জানা যায়নি। তবে এক চিকিৎসক তো মজা করে বলেই ফেললেন- লোকের সেবা করেন তাঁরা। আয়ু বাড়ানোর চেষ্টা করেন। আর তাঁদের মৃত্যুসংবাদ যে বা যারা ছড়াচ্ছে, তারা ভালোই করছে। আয়ু আরও বেড়ে যাচ্ছে ডাক্তারদের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন