ডিগবাজ ট্রাম্পই ট্রাম্পকার্ড
শেষ হাসি হাসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পই। রাজনীতিতে ঝড়ের বেগে আসা এই রিপাবলিকান, রিয়েল অ্যাস্টেট ব্যবসায়ী হিসেবেই বেশি পরিচিত। ব্যবসায়ী থেকে কীভাবে রাজনীতিতে এলেন তিনি? আর কীভাবেই ব্যবসায়ী পরিবার থেকে উঠে আসা ট্রাম্প, ট্রাম্পকার্ড দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়ার পথে? এ নিয়ে সবার মধ্যেই কৌতূহল আছে। এক বছর আগেও মার্কিন রাজনীতির পরিচিত কোনো মুখ ছিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির নমিনেশন পেয়ে রাজনীতিতে হঠাৎই তার সরব উপস্থিতি।
১৯৪৬ সালের ১৪ জুন নিউইয়র্কের কুইন্স সিটিতে জন্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী বাবা ফ্রেড ট্রাম্প ও মা মেরি ট্রাম্পের ৫ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ। পড়াশোনার হাতেখড়ি স্থানীয় বেসরকারি স্কুলে। পরে অস্টম গ্রেডে ভর্তি হন নিউইয়র্ক মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। পড়াশুনার ছুটিতে বাবার পারিবারিক ব্যবসা ‘এলিজাবেথ ট্রাম্প অ্যান্ড সান’- দিয়ে ভবিষ্যতে ঝানু ব্যবসায়ী হওয়ার ইঙ্গিত দেন ডোনাল্ড।
১৯৬৮ সালে ‘ওয়ারটন ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়া’ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক করেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ছাত্রাবস্থায় ভিয়েতনাম যুদ্ধে যোগ দেয়ার ডাক পেলেও গোড়ালির সমস্যায় বাদ পড়েন। স্নাতক হওয়ার পর ২২ বছর বয়সে পুরোপুরি হাল ধরেন বাবার ব্যবসায়। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। সময়ের সঙ্গে ব্যবসা বাড়িয়ে হন, ধনকুবের।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অন্যতম আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাতি পান ১৯৭৮ সালে। আশির দশকে বাড়াতে থাকেন বিনিয়োগ। এ সময়েই গড়ে তোলেন ‘ট্রাম্প টাওয়ার’। নব্বইয়ের দশকে গড়ে তোলেন জমজমাট ক্যাসিনো ব্যবসা।
দু’হাজার সালের পর দেশ-বিদেশে গালফ কোর্সে বিনিয়োগ ট্রাম্পকে আরো ধনী করে। সম্পদ আরো বাড়ান ‘ওয়ার্ল্ড রেসলিং চ্যাম্পিয়ানশিপ’, ‘মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করে। টেলিভিশনে রিয়েলিটি শো করে খ্যাতি পান টিভি ব্যক্তিত্ব হিসেবে। তার সম্পদের পরিমাণ সাড়ে চারশো কোটি ডলারের কাছাকাছি।
তবে, বির্তকও কম নয় তাকে নিয়ে। অবৈধ ব্যবসায় বিনিয়োগ, বেশ ক’বার নারী কেলেঙ্কারি ও কর ফাঁকির মতো অভিযোগও আছে এ ধনকুবের বিরুদ্ধে। বিয়ে করেছেন ৩টি। আগের দু’জনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ায় তৃতীয় স্ত্রী মেলেনিয়ার সঙ্গে থাকছেন তিনি। বিভিন্ন ঘরে তার সন্তান আছে ৫ জন।
রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত সমর্থন করেন ডেমোক্র্যাটদের। তবে বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হবার পর, জন্মস্থান ও নীতির বিরুদ্ধে থাকার জেরে ঝোঁকেন রিপাবলিকান দলে। চলতি বছরের গোড়ায় ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতার। বিশ্বব্যাপী আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার স্লোগান দিয়ে প্রাথমিক মনোনয়নে ১৭ প্রার্থীকে হটিয়ে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করেন। তবে সেখানেও নারীদের কটূক্তি, অভিবাসন ও মুসলিম বিদ্বেষীবক্তব্য দিয়ে হন সমালোচিত।
বারবার ভোল পাল্টানো ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতিকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিলেও, বাস্তবে তার কতোট করতে পারবেন তাই এখন আগ্রহ নিয়ে দেখবেন বিশ্ববাসী।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন