ডিনার সারতে চাইলে জামা-কাপড় খুলুন, এটাই নাকি ‘বুনিয়াদি’-সংস্কৃতি?
এই খানা-দরবারে হাজির হয়ে আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, সেটি জামা-কাপড় খুলে ফেলা।
‘থিম-রেস্তোরাঁ’ এই মুহূর্তে নতুন কোনও বিষয় নয়। ‘হ্যারি পটার’ থেকে ‘গেম অফ থ্রোনস’, ‘স্টার ওয়ারস’ থেকে সালভাদোর দালির কিম্ভুত-কিমাকার জগৎ— সব কিছু নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘থিম রেস্তোরাঁ’। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে পিছনে ফেলে লন্ডন শহর প্রবেশ করতে চাইছে একেবারেই ‘ভিন্ন’ প্রকার ডাইনিংয়ে।
লন্ডনের রেস্তোরাঁ-সংস্কৃতিতে সাম্প্রতিকতম সংযোজনটিকে ‘অভিনব’ বলার আগে বোধ হয় দু’দণ্ড ভাবতে হবে। এই রোস্তোরাঁয় প্রবেশের শর্ত হবে এই— এই খানা-দরবারে হাজির হয়ে আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, সেটি জামা-কাপড় খুলে ফেলা। হ্যাঁ, এখানে নগ্ন হয়েই সারতে হবে ডানহাতের কাজ।
তবে একেবারেই ‘নগ্ন’ হয়ে প্রবেশের কথা বলছে না এই ‘নেকেড রেস্তোরাঁ’। প্রবেশের পরে কাস্টমাররা তাঁদের পরিধেয় সব কিছু খুলে পরে নেবেন একটা বিশেষ ড্রেসিং গাউন। তাঁদের ছেড়ে রাখা জামা-কাপড় রেখে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট লকারে। ড্রেসিং গাউন পরিহিত আহারেচ্ছুরা ডাইনিং টেবলে বসে স্থির করবেন তাঁরা সেই একবস্ত্র অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে নগ্ন হয়ে আহার সারবেন কি না। তাঁদের আব্রু রক্ষা করবে বাঁশের বেড়ার পার্টিশন। আর খাদ্য পরিবেশনকারীদের ক্ষেত্রেও যে ‘ড্রেস কোড’-এর কথা বলা হচ্ছে, তা-ও সাংঘাতিক। তাঁরা নগ্ন না-হলেও সংক্ষিপ্ততম পোশাকে পরিবেশন করবেন সুখাদ্য।
সবে ঘোষিত হয়েছে পরিকল্পনা। আর তাতেই হট্টগোল পড়ে গিয়েছে লন্ডনের রসিকমহলে। কথা আছে, জুন মাসে উদ্বাধন হবে ‘বুনিয়াদি’ নামের এই রেস্তোরাঁ। তবে মালিকপক্ষ এখনও জানাননি সেন্ট্রাল লন্ডনের ঠিক কোন ঠিকানায় শুরু হতে চলেছে এই ‘নগ্ন রেস্তোরাঁ’। কিন্তু রসিকজন ইতিমধ্যেই ‘বুনিয়াদি’-র ওয়েবসাইটে লাইন লাগাতে শুরু করেছেন। ‘টিকিট’-এর জন্য সেখানে অপেক্ষমাণ এই মুহূর্তে ৯১২২ জন।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ‘আধুনিক’ জীবনের ফাঁদ থেকে মুক্ত হতেই এই ‘নগ্নতা’-র আহ্বান। প্রকৃতির কাছাকাছি মানুষকে নিয়ে চাওয়াই এই প্রজেক্টের উদ্দেশ্য। এখানে খাবার রান্না হবে কাঠের আগুনে। ব্যবহৃত হবে মাটির পাত্র। ডাইনিং হবে মোমের আলোয়। কোনও রকমের বৈদ্যুতিক বাতি এখানে থাকবে না।
জানা নেই এই প্রকল্প নিয়ে ফরাসিদের কী মত? সেই ১৯ শতকেই তে স্তেফান মালার্মে আর তাঁর সঙ্গী কবি-চিত্রকররা ‘আধুনিক’ জীবনে বীতশ্রদ্ধ হয়ে ডাক দিয়েছিলেন প্রকাশ্য নগ্নতার। এদুয়ার্দ মানে এঁকেছিলেন ‘লাঞ্চিয়ন অন গ্রাস’-এর মতো পেইন্টিং। ‘বুনিয়াদি’-র কর্তারা কি সেই পরম্পরাকেই রিভাইভ করতে চাইছেন? কিন্তু অ্যাদ্দিন পরে কেন?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন