ড্রাইভারের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে স্ত্রীকে হত্যা করে মতিন
শেরপুর পৌরশহরের ধুনট মোড় এলাকায় নিজ ঘরে জবাই করে হত্যার শিকার হওয়া গৃহবধু শারমিন আক্তার তনি হত্যাকান্ডের ৩ সপ্তাহ পর মুল রহস্য উৎঘাটনের পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িত স্বামী আব্দুল মতিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শেরপুর থানা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের তাঁতরা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেন মেম্বারের ছেলে আব্দুল মতিনের সাথে পৌর শহরের ধুনটমোড় এলাকার শফিকুল ইসলাম তারুর মেয়ে শারমিন আক্তার তনির ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। শ্বশুড়ের মৃত্যুর পর স্বামী স্ত্রী মিলে ধুনটমোড় এলাকার হাফিজার প্লাজার তৃতীয় তলায় বসবাস করা অবস্থায় গত ২৩ এপ্রিল দুপুরে ধুনট মোড়ের ওই বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তনির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী আব্দুল মতিন পলাতক ছিল। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট বোন তিথি ভগ্নিপতি আব্দুল মতিন ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে আব্দুল মতিনের পিতা নির্বাচনের আগের দিন স্ট্রোক করে মারা গেলেও সে পিতার লাশ দাফনে আসেনি। গতকাল ১৩ মে পিতার কুলখানিতে হাজির হলে থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস আই বুলবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার ও এর কারণ বর্ণনা করেন। মতিন জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে খন্দকারপাড়ার জনৈক ট্রাক চালক শামীমের পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। গত ২২ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে এসে বিছানায় স্ত্রী তনি ও ট্রাক চালক শামীমকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। শামীম পালিয়ে গেলে তিনি তনিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন। তখন তনি তাকে বলেন, ‘তার বাড়িতে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে নিয়ে থাকবেন। তোমার ভাল না লাগলে এসো না।’
এ কথায় মতিন ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার পাইপ দিয়ে তনির মাথায় আঘাত করেন। তনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মতিন ঘরে থাকা চাকু দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর দুই সন্তানকে তাঁতরা গ্রামে বাবা-মার কাছে রেখে আত্মগোপন করেন।
বগুড়ার সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) গাজিউর রহমান জানান, শেরপুরের তাঁততা গ্রামের আমজাদ হোসেন মেম্বরের ছেলে আবদুল মতিন (৩৫) প্রায় ৯ বছর আগে প্রেমের সূত্রে পার্শ্ববর্তী ধুনট মোড় খন্দকারপাড়া এলাকায় শফিকুল ইসলাম তারুর মেয়ে শারমিন আক্তার তনিকে বিয়ে করে। তাদের তাসিন (৭) ও তাহনা (৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে।
তারুর মৃত্যুর পর মেয়ে ও জামাই তার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। মতিন মাদকাসক্ত ও কোনো কাজ না করায় তার সাথে স্ত্রী তনির সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত ২৩ এপ্রিল সকালে শয়ন ঘরে তনির গলাকাটা লাশ দেখে স্বজনরা পুলিশে খবর দেন। ওইদিন সন্ধ্যায় মতিনের দুই সন্তানকে পুলিশ উদ্ধার করেন।
মতিন পলাতক থাকায় ও আলামত দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মতিন জড়িত। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। নিহতের বোন তাসমিয়া তন্ময় আকতার শেরপুর থানায় ভগ্নিপতি মতিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার এসআই বুলবুল ইসলাম জানান, দুপুরে মতিনকে স্বীকারোক্তি রেকর্ডে ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন